প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের আর মাত্র কিছু দিন বাকি। ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের আগ মুহূর্তে সীমান্তে বাড়ছে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢল।
সাউথ ও সেন্ট্রাল অ্যামেরিকা থেকে আসা এসব অভিবাসন প্রত্যাশীরা সপ্তাহ জুড়ে পায়ে হেঁটে এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অ্যামেরিকার ঢোকার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকে নিহত ও আহত হয়েছেন।
ডনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দায়িত্ব গ্রহণের পর তার প্রথম কাজ হবে দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়ন করা। ইতিহাসের সব চেয়ে বড় অবৈধ অভিবাসী বিতাড়নের জন্য তিনি স্টেইট অফ ইমারজেন্সি ঘোষণা এবং মিলিটারিদের ব্যবহারের কথাও বলেছেন।
ট্রাম্পের দেয়া এসব প্রতিশ্রুতি নিয়ে উদিগ্ন অভিবাসন প্রত্যাশীরা। তাই তার দায়িত্ব গ্রহণের আগে অ্যামেরিকায় ঢোকার আশায় দেশের সীমান্তগুলোতে জড়ো হয়েছেন সাউথ ও সেন্ট্রাল অ্যামেরিকা থেকে আসা হাজারো অভিবাসন প্রত্যাশী। অভিবাসন প্রত্যাশী অনেক ছোট শিশু এবং নারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলের মালবাহী ট্রেনে উঠছেন। তারা মনে করছে, অ্যামেরিকায় ঢোকার এটিই তাদের শেষ সুযোগ। তবে এভাবে ট্রেনে ভ্রমণ, অত্যন্ত বিপজ্জনক।
নির্বাচিত হওয়ার পর নিজের প্রথম মিশন হিসেবে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করে অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিতাড়ণের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তাই বাইডেন প্রশাসন দায়িত্ব ছাড়ার আগেই হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী অ্যামেরিকায় আশ্রয় পাওয়ার আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সীমান্তে ভিড় করছেন। এতে বাড়ছে নিহত ও গুরুতর আহতদের সংখ্যা। পাশাপাশি অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকেই নানান অপরাধের শিকার হচ্ছেন।