মৌসুমের শুরুতে কেভিন ডে ব্রুইনে ভেবেছিলেন, নতুন চুক্তি নিয়ে মানচেস্টার সিটির সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। টুকটাক আলোচনা শুরুও হয়েছিল। তবে বিপত্তি বাধিয়ে দিল চোট। মাঠে ফেরার লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকা মিডফিল্ডার চুক্তির ভাবনাই সরিয়ে ফেললেন মাথা থেকে। এখনও এটা নিয়ে কোনো তাড়াহুড়োর প্রয়োজন তিনি দেখছেন না।
চোটের কারণে গত ১৮ সেপ্টেম্বরের পর থেকে কোনো ম্যাচের শুরু থেকে খেলতে পারেননি ডে ব্রুইনে। এই সময়ে জাতীয় দলের ম্যাচেও দর্শক হয়ে থাকতে হয়েছে বেলজিয়ান তারকাকে। অবশেষে মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির সেরা একাদশে দেখা যেতে পারে তাকে।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন হলো এই ক্লাবে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে। ৩৩ বছর বয়সী ফুটবলার বললেন, আপাতত মাঠে ফিরে ছন্দ খুঁজে পাওয়া নিয়েই ভাবছেন তিনি।
“আমি জানি না (এটিই সিটিতে শেষ মৌসুম কি না)। মৌসুমের শুরুতে জানতাম যে, কোনো একটা পর্যায়ে কথা হবে ক্লাবের সঙ্গে। এরপর চোটে পড়লাম। কয়েক দিনেই ঠিক হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আট-নয় সপ্তাহ লেগে গেল। এই আলোচনা তাই সরিয়েই রেখেছিলাম।”
“গ্রীষ্মে কিছুটা আলোচনা হয়েছিল আমার। তবে চোটে পড়ার পর এসব নিয়ে কথা বলার মতো মানসিক অবস্থায় ছিলাম না। আগে মাঠে নামা ও আপন চেহারায় ফেরা জরুরি। (চুক্তি নিয়ে) তাড়ার কিছু নেই, কোনো অস্বস্তি অনুভব করছি না এবং দুর্ভাবনাও নেই।”
এর মধ্যে অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার ঘটে গেছে। সিটির কোচের দায়িত্বে চুক্তি দুই বছর বাড়িয়েছেন গুয়ার্দিওলা। এই ক্লাবে দশম মৌসুমে থাকা ডে ব্রুইনে বললেন, তার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও প্রভাব থাকতে পারে কোচের থেকে যাওয়া।
“এটা সহায়তা করতে পারে। ভবিষ্যতে কী হতে পারে, সেটা নিয়ে পেপের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন পড়বে না আমার। নতুন কোচ এলে তখন কথা বলার দরকার হতো। পেপ কীভাবে কাজ করেন, সেটা তো আমি জানিই।”
“এখন পেপ যদি তার ভাবনা বদলায় এবং এসে বলে যে, ‘ধন্যবাদ কেভিন, এখন তোমার যাওয়ার সময় হলো’, তখন ভিন্ন ব্যাপার। তবে তিনি কীভাবে ফুটবলারদের সঙ্গে কাজ করেন, তা আমার জানা আছে। এটা আমার জন্য নতুন কিছু নয়।”
নতুন চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত যে প্রশ্ন ক্রমাগত হতেই থাকবে, তা জানেন ডে ব্রুইনে। তবে সেটিকে পাত্তা দিচ্ছেন না তিনি।
“প্রশ্ন আসতেই থাকবে। তবে আমি সেই উত্তরই দিতে পারি, এখন যা দিচ্ছি। আলোচনার সময় হলেই আলোচনা হবে। আলোচনা না হলে এটিই হবে ক্লাবে আমার শেষ বছর। এত ভাবছি না, আমি স্রেফ ফুটবল খেলতে চাই।”