বুধবার

,

৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

দিল্লি ও কলকাতায় বাংলাদেশ দূতাবাসের নিরাপত্তা বৃদ্ধি

এটিভি ইউএসএ নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে ভারতে উগ্রবাদি হিন্দু সংগঠনগুলোর আগ্রাসী আন্দোলনের ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার তাদের সব দূতাবাস ও কূটনীতিকসহ কর্মীদের সুরক্ষার আবেদন জানিয়েছিল। এর পরেই শনিবার থেকে দিল্লি, কলকাতার বাংলাদেশ দূতাবাসের নিরাপত্তা বেশ কয়েকগুণ বাড়ানো হয়। কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দু সংগঠনগুলোর মারমুখী আন্দোলন মোকাবিলায় অতিরিক্ত সতর্কতা ও নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, এখন থেকে কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনারের নিরাপত্তা ও নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার। এছাড়াও থাকবেন ২ জন ইন্সপেক্টর এবং ৬ জন করে এএসআই ও এসআই পদমর্যাদার অফিসার। নারী ও পুরুষ মিলিয়ে ৩০ জন লাঠিধারী কনস্টেবলও দুই শিফটে মোতায়েন থাকবেন ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে। আগে মাত্র ১২ জন মোতায়েন থাকতেন। এখন থেকে ডেপুটি হাইকমিশনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের প্রবেশ করার ক্ষেত্রে তল্লাশি করা হবে। তাছাড়া ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে ও সংলগ্ন রাস্তাগুলোতে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে।

অন্যদিকে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরে পুলিশের র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। হাইকমিশনের সামনে সব ধরনের জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতার মতো দিল্লি হাইকমিশনের সামনের প্রবেশপথেও ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। জারি করা হয়েছে ভারতীয় ন্যায়সংহিতার ১৬৩ ধারা। যেকোনও বিক্ষোভ মোকাবিলায় কাঁদানে গ্যাস হাতে দিল্লি পুলিশ তৈরি থাকবে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ‘নির্যাতন’ ও সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সম্প্রতি বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ নামে একটি সংগঠনের বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ডেপুটি হাইকমিশনের কাছে চলে এলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনকারীরা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পোড়ানোর পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা দাহ করে। এর পরেই বাংলাদেশ সরকার উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেয়।