ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর জারি করা সুনামি সতর্কতা তুলে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। অঙ্গরাজ্যটির উত্তরাঞ্চলের উপকূলীয় শহরগুলোতে ভূমিকম্পের আঘাতে কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। যদিও আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুনামি সতর্কতা তুলে নেয়া হলেও উপকূলে তীব্র জোয়ার আঘাত হানার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের উত্তরাঞ্চলীয় উপকুলে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৪ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম বলেন, ‘আমরা ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে অঙ্গরাজ্যটির উত্তরাঞ্চলীয় কয়েকটি কাউন্টিতে ভূমিকম্পের বিরূপ প্রভাব পড়েছে। সুনামি সতর্কতা তুলে নিলেও, জরুরি অবস্থা জারি করেছি। এতে করে আমরা প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের পাশাপাশি ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের সহায়তাও পেতে যাচ্ছি।’
এরই মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জরুরি সেবাদানকারী সংস্থার সাথে কাজ শুরু করছে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ফার্নেন্দেলের বাসিন্দারা।
একজন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘যেহেতু ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে সুনামি সতর্কতা তুলে নেয়া হয়েছে, আপনারা আপাতত কিছুটা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। কিন্তু নৌভ্রমণ, সাঁতার কাটা কিংবা সার্ফিংয়ের জন্য এটা উপযুক্ত সময় নয়। কারণ যে কোনো সময় বড় ঢেউ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।’
ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ২শ’ ৭০ কিলোমিটার দুরে সানফ্রান্সিসকোর দক্ষিণেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
স্যান দিয়াগোর একটি সীমান্ত পরিদর্শন শেষে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন ক্যালফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। সুনামি সতর্কতা থেকে দুর্গতদের পুনর্বাসনে এরই মধ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভূমিকম্পের প্রভাবে স্যান ফ্রান্সিকো ও এর আশেপাশের উপকূলীয় এলাকার পাশাপাশি হামবোল্ট কাউন্টিতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন কয়েক হাজার বাসিন্দা। পাওয়ার আউটেজ ডট ইউএসের তথ্য বলছে, এরই মধ্যে হামবোল্টের ১৯ হাজার গ্রাহকের বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করা হয়েছে।