কেউ যাতে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। বলেছেন, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ল’ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুলা) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধান বিচারপতি শুক্রবার এ কথা বলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ঐতিহ্য তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি বলেন, জাতিকে নেতৃত্ব দিতে, জনসাধারণের সেবা করতে এবং বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখে চলেছে রাবি আইন অনুষদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। তিনি বলেন, আমরা স্মরণ করি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের, যাদের অসীম সাহসিকতায় একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের শহিদদের শ্রদ্ধা জানাই। যাদের অসীম আত্মত্যাগ এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছে। তাদের আর্তনাদ ছিল ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই’। এখন একটি ন্যায্য সমাজের অন্বেষণ প্রতিধ্বনিত হয়।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, আইনজীবীরা সংবিধানের প্রথম সারির রক্ষক। আইনজীবীরা কণ্ঠহীনদের প্রতিনিধিত্ব করেন। ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠায় অসীম ভূমিকা রাখেন আইনজীবীরা। তিনি বলেন, আইনজীবীরা বিচার বিভাগ ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগ সংস্কারের জন্য একটি ব্যাপক রোডম্যাপ ঘোষণা করেছি। এই উদ্যোগটি আমাদের বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করতে এবং সততা ও দক্ষতার সাথে জনগণের সেবা করার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার ভিত্তি।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগীয় সংস্কারের জন্য মূল লক্ষ্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে শক্তিশালী করা।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগের জন্য একটি পৃথক সচিবালয় তৈরির প্রক্রিয়া ঘোষণা করেছি। যা বিচার বিভাগের প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং যোগ্যতা প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কাউন্সিল গঠনে সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছি।