বিশ্বজুড়ে ডলার বিলিওনিয়ারের সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। সুইজারল্যান্ডের বৃহত্তম ব্যাংক ইউবিএস শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ১০ বছরে বিশ্বজুড়ে ডলার বিলিওনিয়ারের সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
১০০ কোটি ডলার বা তার চেয়েও বেশি অর্থ-সম্পদ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের বলা হয় ডলার বিলিওনিয়ার।
ইউবিএসের তথ্য অনুসারে, ২০১৫ সালে বিশ্বে ডলার বিলিওনিয়ারের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭৫৭ জন। বর্তমানে এই সংখ্যা পৌঁছেছে ২ হাজার ৬৮২ জনে। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল আরও বেশি ২ হাজার ৬৮৬ জন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিগত দশ বছরে কোটিপতি ও বিলিওনিয়ারদের মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১৪ ট্রিলিয়ন ডলার বা ১২১ শতাংশ।
১০ বছরে সবচেয়ে বেশি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে প্রযুক্তি ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কিত বিলিওনিয়ারদের সম্পদ।
ইউবিএসের প্রতিবেদন বলছে, ২০১৫ সালে টেক বিলিওনিয়ারদের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৭৮৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে এই সম্পদের পরিমাণ পৌঁছেছে ২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে।
“সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নতুন বিলিওনিয়াররা ই-কমার্স, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ডিজিটাল পেমেন্ট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, ফিনটেক, থ্রি ডি প্রিন্টিং এবং রোবোটিক্সকে ব্যাপকভাবে বাণিজ্যিকীকরণের আওতায় আনার কারণে তাদের সম্পদের পরিমাণ নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
ইউবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিশ্বে প্রতি বছর বিলিওনিয়ারদের অর্থ-সম্পদ বেড়েছে ১০ শতাংশ হারে। তবে ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির সময় তা অনেক কমে যায়। ওই বছর বিশ্বের বিলিওনিয়ারদের সম্পদ বেড়েছে মাত্র ১ শতাংশ।
২০১৫ সালে চীনা বিলিওনিয়ারদের মোট সম্পদ ছিল ৮৮৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার; ২০২০ সালে তা বেড়ে পৌঁছায় ২ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলারে। তবে ২০২০ সালের পর থেকে কমতে শুরু করে চীনা বিলিওনিয়ারদের সম্পদ। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলারে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকো—উত্তর আমেরিকার এই তিন দেশের বিলিওনিয়ারদের মোট সম্পদ ২০২০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার বা শতকরা ৫৮ দশমিক ৫ ভাগ।
২০২৪ সালে বিশ্বের বিলিওনিয়ারদের তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও ২৬৮ নতুন মুখ। নতুন এই বিলিওনিয়ারদের ৬০ শতাংশই উদ্যোক্তা।