বৃহস্পতিবার

,

২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪

ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

এটিভি ইউএসএ নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

যে কোনো ফরম্যাটেই হোক, ভারতকে হারানোর আনন্দই আলাদা। সেটা সিনিয়র কিংবা জুনিয়র- যে কোনো পর্যায়েই হোক। এবার যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতকে ৫৯ রানের ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।

গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মত যুব এশিয়া কাপ জিতেছিলো বাংলাাদেশ।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ ওভারে ১৭ রান তুলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও কালাম সিদ্দিকি। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফিরেন কালাম।

এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আবরার ও অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। উইকেটে সেট হয় ছোট ইনিংস খেলেই বিদায় নেন তারা। আবরার ২০ ও ইনফর্ম হাকিম ১৬ রানে আউট হন।

৬৬ রানে ৩ উইকেট পতনের পর হাফ-সেঞ্চুরির জুটিতে বাংলাদেশের রান তিন অংকে নেন মোহাম্মদ শিহাব জেমস ও রিজান হোসেন। দলীয় ১২৮ রানে জেমসের আউটে ভাঙ্গে জুটি। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬৭ বলে ৪০ রান করেন জেমস।

জেমসের আউটে বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বড় স্কোরের আশা শেষ হয়ে যায় তাদের। ৩টি চারে ৬৫ বলে রিজানের ৪৭ এবং উইকেটরক্ষক ফরিদ হাসানের ৩টি চারে ৩৯ রানে কল্যাণে ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। যুধাজিত গুহ, চেতন শর্মা ও হার্ডিক রাজ ২টি করে উইকেট নেন।

জয়ের জন্য নেমে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ভারতও। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। ওপেনার আয়ুশ মাত্র ১ রানে ঘরে ফেরেন বাংলাদেশ পেসার আল ফাহাদের বলে। আরেক ওপেনার বৈভব সূর্যবংশীকে ৯ রানে আউট করেন আরেক পেসার মারুফ মৃধা। ২৪ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় ভারত।

জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও বাংলাদেশের পেসার ইকবাল হোসেন ইমনের দারুন বোলিং নৈপুন্যে ধসে পড়ে ভারতের মিডল অর্ডার। ২৩তম ওভার ৮১ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে ভারত। এসময় ৩ উইকেট নেন ইমন।

লোয়ার-অর্ডারে বাংলাদেশ বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন হার্দিক ও চেতন। কিন্তু দু’জনকে শিকার করে ভারতকে ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের শিরোপা নিশ্চিত করেন হাকিম। ভারতের পক্ষে অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান সর্বোচ্চ ২৬ ও হার্দিক ২৪ রান করেন।

হাকিম ৮ রানে এবং ইমন ২৪ রানে ৩টি করে উইকেট নেন। এছাড়া ফাহাদ ২টি, মারুফ ও রিজান ১টি করে উইকেট নেন।

দুর্দান্ত বোলিং নৈপুন্যে ফাইনালের ম্যাচ সেরা হয়েছেন ইমন। টুর্নামেন্টে ১৩ উইকেট নিয়ে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছেন ইমনই।