নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটির তরুণ উদ্যোক্তা তাওহীদ মাহবুব মুন্না সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের মর্যাদাবান এপ্রিশিয়েশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। বিদেশী ইনভেস্টর হিসেবে দক্ষতার সাথে আরব আমিরাতের নির্দিষ্ট কিছু অত্যাবশ্যকীয় নিয়ম মেনে ব্যবসা করায় এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। এই বছর ৫৩ জন বিদেশী ইনভেস্টরকে এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে।
আরব আমিরাতের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে জমজম ট্রাভেলস নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করছেন তিনি। এরই মধ্যে সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতায় বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন কমিউনিটির মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন এই তরুণ ব্যবসায়ী।
২০০৯ সালে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ শহরে প্রথম ব্যবসা শুরু করেন তিনি। গুড ওয়ে ট্রাভেলস নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দিয়ে শুরু হলেও বর্তমানে ব্যবসার বিভিন্ন শাখা প্রসারিত হয়ে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
পরবর্তীতে, মালয়েশিয়াতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন। এখনও মালয়েশিয়াতে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ও পণ্য রপ্তানীর ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত আছেন। এছাড়া কম্বোডিয়াতে সেভ ওয়ে ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ডেভেলপমেন্ট ব্যবসা রয়েছে তাওহীদ মুন্নার।
আর সংযুক্ত আরব আমিরাতে জমজম ট্রাভেলস ও তাওহীদ মাহবুব প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস, আল বুশরা ট্রাভেলস ব্যবসাও সবার আস্থা অর্জন করেছে।
এছাড়াও, বাংলাদেশে জমজম এগ্রোসহ আরো কিছু খাতে তাঁর ইনভেস্ট রয়েছে। বাংলাদেশ হয়ে মালয়েশিয়া, পরবর্তীতে দুবাই এবং যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিজের মেধা ও যোগ্যতায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তিনি।
ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন মানবিক ও সামাজিক কাজে জড়িত রেখেছেন নিজেকে। বাংলাদেশে ৫টি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত। এর মধ্যে সুখ পাখি সিরাজগঞ্জ, সুখ পাখি রেড লাভ, টিম দূরন্ত, স্মার্ট হেলপিং হ্যান্ড অন্যতম।
ভবিষ্যতে, ব্যবসায় সুনাম অর্জনের পাশাপাশি মানবিক কাজ দিয়ে সমাজে অবদান রাখতে চান। আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়ে কিছু মানুষের হাসি ফোটাতে প্রত্যয়ী এই তরুণ ব্যবসায়ী।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সুনামের সাথে ব্যবসা করছেন তাওহীদ মাহবুব মুন্না।