বুধবার

,

৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

সিরিয়ার বিজয়ী বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার আসাদ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বর্তমানে দেশটিকে নিয়ন্ত্রণ করছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। এবার বিদ্রোহীদের সঙ্গে আমেরিকা ‘সরাসরি যোগাযোগ’ করেছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এটি এইচটিএসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের প্রথম স্বীকৃতি। যদিও আমেরিকা এখনো এইচটিএসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে রেখেছে। খবর বিবিসি।

ব্লিঙ্কেন জর্ডানে আরব দেশগুলোর প্রতিনিধি, তুরস্ক এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর এ কথা বলেন। সেখানে সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

আলোচনায় নেতারা সিরিয়ায় একটি শান্তিপূর্ণ রূপান্তর প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার বিষয়ে একমত হন। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আঞ্চলিক শক্তিগুলো চায় না যে সিরিয়া ‘নৈরাজ্যে পতিত’ হোক।

এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিরিয়ার সরকারকে সংবেদনশীল হতে হবে, সংখ্যালঘুদের অধিকারকে সম্মান করতে হবে এবং ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর’ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করতে পারবে না।

ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেন বলেন, আঞ্চলিক শক্তিগুলো আরেকটি লিবিয়া দেখতে চায় না– যেখানে কর্নেল গাদ্দাফির পতনের পর নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছিল।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, সিরিয়ার বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংরক্ষণ ও সংস্কার করতে হবে। তিনি বলেন, কখনোই সন্ত্রাসবাদকে রূপান্তরকালীন সময়ের সুযোগ নিতে দেয়া যাবে না। আমাদের অবশ্যই আমাদের প্রচেষ্টাগুলোর সমন্বয় ঘটাতে হবে এবং অতীতের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

এইচটিএস জানিয়েছে, তারা একটি সংবেদনশীল সরকার গঠন করতে চায়। তবে গোষ্ঠীটির সহিংস জিহাদী অতীতের কারণে অনেকের সন্দেহ রয়েছে যে তারা এমন প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে কিনা। এ প্রসঙ্গে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন এইচটিএসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছে। বিশেষ করে, বহুদিন ধরে নিখোঁজ থাকা মার্কিন সাংবাদিক অস্টিন টাইসের বিষয়ে।

ব্লিঙ্কেন বলেন, আমরা এইচটিএস এবং অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।

জর্ডানে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সিরিয়ার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল না। বৈঠকে আরো অনুপস্থিত ছিল ইরান ও রাশিয়া।