অবশেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কেরানীগঞ্জের ব্যাংকে জিম্মি দশার অবসান শেষে জানা গেলো খেলনা পিস্তল নিয়ে ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়েছিলো তিন তরুণ।
ঢাকার উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরায় বৃহস্পতিবার রূপালী ব্যাংকের শাখায় হঠাৎ একদল ডাকাত হানা দেয়। অস্ত্রের মুখে তারা একে একে গ্রাহক ও ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জিম্মি করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। উৎকণ্ঠা বাড়ে জিম্মিদের স্বজন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মধ্যে।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রাহক সেজে তিন ডাকাত ব্যাংকে প্রবেশ করেন। এরপর খেলনা পিস্তল ঠেকিয়ে ম্যানেজারকে জিম্মি করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন তারা; যা ব্যর্থ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
রূপালী ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার ইসমাইল শেখ জানান, ‘গ্রাহক পরিচয়ে ঢোকে ওই ডাকাতরা। পরে আমিসহ ব্যাংকে থাকা ১৬ জনকে জিম্মি করা হয়। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রবিবার থেকে ব্যাংকে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে।’
কেরানীগঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলায় পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ বলেন, ‘যৌথ বাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করা তিন ডাকাত কেরানীগঞ্জ মডেল থানার হেফাজতে আছে। তারা তাদের নাম আরাফাত, নীরব ও সিফাত বলেছে। এদের মধ্যে দুজনের বয়স ১৪ বছর এবং একজনের বয়স ১৮ বছর বলে ধারণা করছি আমরা। তাদের কাছ থেকে চারটি খেলনা পিস্তল ও দুটি দেশীয় ছোরা পাওয়া গেছে। সবগুলোই ছিল খেলনা পিস্তল। এদের মধ্যে আরাফাত সপ্তম শ্রেণির ছাত্র, সিফাত মাদ্রাসার ছাত্র ও নীরব পেশায় গাড়িচালক। এই তিন কিশোর ব্যাংকে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ব্যাংক কর্মকর্তাদের জিম্মি করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর ব্যাংকের ক্যাশ থেকে ১৮ লাখ টাকা লুট করে।’
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে ডাকাত দল ব্যাংকটিতে ঢুকে পড়ে। ডাকাত হানা দেওয়ার খবর এলাকার মসজিদে ঘোষণা দেওয়া হয়। মুহূর্তে পুরো এলাকায় এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। সন্ধ্যা ৬টার দিকে আত্মসমর্পণ করে তিন ডাকাত।