বিশ্বব্যাংক থেকে ১ দশমিক ১৬ বিলিয়ন বা ১১৬ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালনা পর্ষদ বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন, পানি ও স্যানিটেশন সেবা বৃদ্ধি এবং আরও সবুজ ও জলবায়ু-সহিষ্ণু উন্নয়নের জন্য তিনটি ঋণ প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫০ কোটি ডলারের ‘সেকেন্ড বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট ক্রেডিট’ এর মাধ্যমে দেশের সবুজ ও জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়নে উত্তরণে সহায়তা করার জন্য সংস্কারে সহায়তা করবে।
এছাড়াও ৩৭ কোটি ৯০ লাখ ডলারের ‘স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং জনসংখ্যা সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’ মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পরিষেবায় জনগণের প্রাপ্যতা উন্নত করতে এবং সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে স্থিতিস্থাপক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। এটি প্রায় ৫১ লাখ মানুষকে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং জনসংখ্যা পরিষেবা দেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ২৮ কোটি ডলারের ‘চট্টগ্রাম ওয়াটার সাপ্লাই ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের দশ লাখেরও বেশি মানুষকে নতুন এবং পুনর্বাসিত পাইপযুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহ করবে।
প্রায় ২ লাখ নতুন পরিবারের পানির সংযোগ তৈরি এবং নিম্ন-আয়ের সম্প্রদায়ের প্রায় ১ লাখ মানুষকে উন্নত স্যানিটেশন পরিষেবা দেবে প্রকল্পটি।
বাংলাদেশ ও ভুটান বিষয়ক বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুলায়ে সেক বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি এবং দেশটি দূষণের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। প্রতিটি খাতে জলবায়ু সহনশীলতার বৃদ্ধি এবং দূষণ মোকাবেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই নতুন অর্থায়ন বাংলাদেশের জনগণের জন্য স্বাস্থ্য, পানি ও স্যানিটেশন সেবার মতো প্রয়োজনীয় সুবিধা আনবে এবং পরিষ্কার, জলবায়ু-সহিষ্ণু এবং টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি তৈরি করবে।’
প্রকল্পটি ২০৩৫ সালের মধ্যে এই অঞ্চলের প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষকে পানি, স্যানিটেশন এবং হাইজিন পরিষেবা প্রদানের জন্য বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক উদ্যোগ বা কর্মসূচির একটি অংশ।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশকে প্রথম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে সমর্থন দেওয়া অংশীদারদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক অন্যতম। এরপর থেকে বিশ্বব্যাংক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সমিতির (আইডিএ) অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ এবং রেয়াতি ঋণের মাধ্যমে ৪৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থায়ন করেছে, যা দেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকার মোকাবেলায় সাহায্য করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সুদমুক্ত ঋণের অন্যতম বৃহত্তম প্রাপক দেশ।