রবিবার

,

২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ বেড়ে ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৯৯৫ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ রিজার্ভ আন্তর্জাতিক হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুসারে। বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৪৯৪ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার ডলার।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাপ্তাহিক আপডেট প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবায়ন অনুসারে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৯৫ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বাংলাদেশ গত বছরের জানুয়ারি থেকে আইএমএফের হিসাবায়ন পদ্ধতি বিপিএম-৬ বা ব্যালান্স অব পেমেন্ট ম্যানুয়াল-৬ অনুসরণ করে আসছে। পাশাপাশি গ্রস বা মোট রিজার্ভের হিসাবও করে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহস্পতিবার গ্রস রিজার্ভ দাঁড়ায় ২ হাজার ৪৯৪ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার ডলার।

উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে আমদানির বিল বাবদ ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে হয়েছিল ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম৬)। গত দেড় মাসে বৈদেশিক মুদ্রার এই সঞ্চয় বাড়তে বাড়তে আবারও প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের পথে এগিয়েছে।

মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণ করে থাকে। এর একটি হলো বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভ। এর মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সহজ শর্তের ঋণ, বিমান ক্রয়ে সোনালী ব্যাংককে দেওয়া ঋণসহ আরও বেশ কয়েকটি তহবিল।

দুই. বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণের অর্থ বাদ দিয়ে একটি তহবিল। তিন. ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ। বর্তমানে এর পরিমাণ ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা কম।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী একটি উন্নয়নশীল দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সর্বশেষ হিসাবে মাসিক আমদানি ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার।