শুক্রবার

,

২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪

শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের চলাচলে রোবট বানালো দক্ষিণ কোরিয়া

মাহফুজুল হাসান
ছবি: সংগৃহীত

শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের চলাচলের জন্য বিশেষ রোবট বানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার একদল বিজ্ঞানী। আয়রনম্যান খ্যাত রোবটটি ব্যবহারের মাধ্যমে শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তি ফিরে পাবেন চলাচলের সক্ষমতা। ১২টি ইলেকট্রনিক মোটরের শক্তিতে চলে হালকা ওজনের রোবটটি। এর ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করা সেন্সরগুলো প্রতি সেকেন্ডে ১ হাজার সিগন্যাল সরবরাহ করে, যা তাক লাগিয়ে দিয়েছে সকলকে। ব্যবহারকারীকে দুর্গম পথ চেনানোর জন্য এতে রয়েছে উন্নতমানের ক্যামেরা, যা ভাঙ্গা রাস্তা কিংবা সিঁড়িতে চলতে সহায়তা করে। রয়েছে আরো বেশকিছু মনকাড়া ফিচার।

দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তি কিম সিউং হুয়ান। চলাচলের জন্য তার একমাত্র মাধ্যম ছিল হুইল চেয়ার। তবে হুয়ানের জীবনকে বদলে দিয়েছে এই রোবট। নিজের শরীর স্থাপনের মাধ্যমে ফিরে পাওয়া যাবেন চলাচলের শক্তি।

কোরিয়া অ্যাডভান্সড ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির একদল গবেষক রোবটটি তৈরি করেছে। এক্সো স্কেলেটন ল্যাব নামে দলটির অন্যতম সদস্য কিম সিউং হুয়ান গণমাধ্যমের সামনে প্রদর্শন করেন এর প্রটোটাইপ। ৫০ কেজি ওজনের রোবটটি লোহার বদলে অ্যালুমিনিয়াম ও টাইটেনিয়াম দিয়ে তৈরি হওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকিও কম, জানিয়েছে গবেষক দল।

গবেষক কিম সিউং হুয়ান বলেন, ‘মেটাল দিয়ে তৈরি রোবটের মাধ্যমে দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকে। তবে এই আয়রনম্যান রোবটটিতে এই ঝুঁকি কম। আমি দাঁড়িয়ে থাকলে কিংবা হুইল চেয়ারে বসে থাকলেও এটি আমার কাছে চলে আসে। আমাকে দাঁড়াতে সাহায্য করে।’

শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা রোবটটির মাধ্যমে ঘণ্টায় হাঁটতে পারবেন সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার গতিতে। পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের জীবনে রোবটটি একদিন সত্যিকারের আয়রনম্যানের কাজ করবে, এমনটাই আশা গবেষকদের।