চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটের ভেতর থেকে ২০টি সোনার বার জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা দুই কেজি ৩০০ গ্রাম সোনার দাম ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এই সময় এক যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগ তদন্তের জন্য বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ ডকুমেন্টারি জব্দ করা হয়েছ।
চোরাচালানকৃত সোনার বার বহন করায় ফালাইট নং বিজি-১৪৮-এর বিমানটিও কাস্টমস আইন, ২০২৩ মোতাবেক আটক করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে এনএসআই চট্টগ্রাম বিমানবন্দর টিম, বিমানবন্দর নিরাপত্তা শাখা এবং শুল্ক গোয়েন্দা যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে এই সোনার বার উদ্ধার করে।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিনহাজ উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, ‘বিমান তো আটক করে রাখা যায় না, এটাকে ডকুমেন্টারি জব্দ বলে। আমরা ফ্লাইটের পাইলট, ক্রু, স্টাফ সম্পর্কে জানতে চাইব। সঙ্গে তাদের সিসি ক্যামেরার ভেতরের ফুটেজ চাইব।
এই বিষয়ে আমরা তদন্ত করব, বিমানের কাছে ব্যাখা চাইব। বিমান তো আটক করে রাখা যাবে না। কারণ এটার আন্তর্জাতিক ফ্লাইট থাকে।’
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ফ্লাইট বিজি ১৪৮ সকাল ১০টা ৫৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম ছেড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যে যাত্রীর সিটের নিচ থেকে সোনাগুলো জব্দ করা হয়েছে তার নাম আতিয়া সামিয়া। তিনি অনলাইন স্বর্ণ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটের ৯ জে সিটের নিচে প্লাস্টিক টেপ দিয়ে মুড়িয়ে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থা থেকে সোনার বারগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা সোনার বার বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা মডেল থানায় ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে।