সম্প্রতি অতিরিক্ত চাপের কারণে প্রায় দুই তৃতীয়াংশ আমেরিকান মনে করছেন, রাজনীতি ও সরকার সম্পর্কে গণমাধ্যমের ব্যবহার সীমাবদ্ধ করা প্রয়োজন। ডিসেম্বরে বার্তা সংস্থা এপির জরিপে দেখা গেছে, প্রতি ১০ জন ডেমোক্র্যাট সদস্যের মধ্যে সাতজন রাজনৈতিক সংবাদ থেকে সরে এসেছেন। রিপাবলিকানদের মধ্যে এই হার প্রতি ১০ জনে ৬ জন।
জিয়াদ আউনাল্লাহ একজন ডেমোক্রেট। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা সময় তিনি রাজনৈতিক সংবাদে নিজেকে নিমজ্জিত করেছিলেন। অনেক আমেরিকান এর মত বর্তমানে তিনি তা থেকে সরে আসছেন।
সান দিয়েগোর বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী আউনাল্লাহ বলেন, “ মানুষ মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। সবাই জানে কি হতে যাচ্ছে। আমরা কিছুটা বিরতি নিচ্ছি।”
টেলিভিশন রেটিং এবং এখন নতুন একটি জরিপে ঘটনাটি স্পষ্ট ভাবে চিত্রিত করা হয়। এসোসিয়েটেড প্রেস-এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রিসার্চ-এর জরিপ অনুসারে, প্রায় দুই তৃতীয়াংশ আমেরিকান বলেন, তারা সম্প্রতি অতিরিক্ত চাপের কারণে রাজনীতি ও সরকার সম্পর্কে গণমাধ্যম ব্যবহার সীমাবদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন।
ডিসেম্বরের শুরুতে পরিচালিত জরিপে দেখা, প্রতি ১০ জন ডেমোক্রেট সদস্যের মধ্যে সাতজন বলেন, তারা রাজনৈতিক সংবাদ থেকে সরে আসছেন। রিপাবলিকানদের মধ্যে এই হার তত বেশি নয়; তাদের কাছে ট্রাম্পের জয় উদযাপনের কারণ রয়েছে। দশ জনের মধ্যে প্রায় ছয় জন রিপাবলিকান বলেন তারা কিছুটা সময় নেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন । স্বতন্ত্রদের মধ্যেও এই হার একই রকম।
রাজনৈতিক খবরে পূর্ণ টিভি নেটওয়ার্কগুলোর জন্য পার্থক্য আরো স্পষ্ট।
নির্বাচনের পর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এমএসএনবিসির প্রাইম টাইম ভিউয়ারশিপ গড়ে ৬ লাখ ২০ হাজার ছিল, যা এই বছরের প্রাক নির্বাচনী শ্রোতার তুলনায় ৫৪ শতাংশ কম বলে উল্লেখ করেছে জরিপ সংস্থা নিলসেন। একই সময়ে সিএনএনের গড়দর্শক ছিল ৪ লাখ ৫ হাজার, যা আগের চেয়ে ৪৫ শতাংশ কম।
ট্রাম্পের সমর্থকদের প্রিয় নিউজ নেটওয়ার্ক ফক্স নিউজ চ্যানেলে নির্বাচন পরবর্তী দর্শকের গড় সংখ্যা ২৬ লাখ ৮০ হাজার, যা ১৩ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে নিলসেন। নির্বাচনের পর থেকে সন্ধ্যায় এই তিনটি কেবল নেটওয়ার্কের মধ্যে ফক্স নিউজ দেখেছেন ৭২ শতাংশ মানুষ, যা নির্বাচনের দিনের আগের তুলনায় ৫৩ শতাংশ বেশি।
টেলিভিশন রেটিং-এ অবনতি ঘটার কথা উল্লেখ করলেও স্ট্রিমিং এবং ডিজিটাল রেটিংগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকার কথা জানিয়েছে সিএনএন।