সোমবার

,

৬ই জানুয়ারি, ২০২৫

বিশ্বজুড়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে নববর্ষ ২০২৫ উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ছুঁতেই আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে আতশবাজির ঝলকানিতে। এরপর আলোক প্রদর্শনীসহ বর্ণিল নানা আয়োজন শুরু হতে থাকে। এভাবেই প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপদেশ কিরিবাতি ২০২৫ সালকে স্বাগত জানায়। এরপর একে একে নতুন বছর ২০২৫ কে স্বাগত জানিয়েছে পুরো বিশ্ব। নিজ নিজ সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য অনুসারে নববর্ষ উদযাপনে মেতে ওঠে দেশগুলো। বর্ণিল আতশবাজি, আলোকসজ্জা এবং নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনে নতুন বছরের আগমনী বার্তা ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।

আমেরিকার নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত টাইমস স্কয়ারে ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টায় পৌঁছাতেই ওয়াটার ফোর্ড ক্রিস্টাল ফেলে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে লাখ মানুষ বরণ করে নিয়েছে নতুন বছরকে।

সবশেষে ২০২৫ সালকে বরণ করলো আমেরিকার পূর্ব উপকূলীয় এলাকাগুলো।

এশিয়ার দেশগুলোতে ইংরেজি নববর্ষের উদযাপনে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশ্রণ দেখা যায়। যেমন জাপানে মন্দিরে ঘণ্টাধ্বনি বাজিয়ে নতুন বছর শুরু হয়। চীনেও পরিবারকেন্দ্রিক আয়োজন জনপ্রিয়। অন্যদিকে বাংলাদেশে পুরোটা রঙিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন বছরকে আনন্দমুখর করে তোলা হয়।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার মনোমুগ্ধকর আতশবাজি বিশ্বজুড়ে নজর কেড়েছে।

হিসাবের খাতায় ব্যর্থতার গ্লানি মুছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে নতুন বছরে শান্তিকামী মানুষের প্রার্থনা ছিল- আর কোনো সহিংসতা নয়, কোনো হত্যা-খুন কিংবা হানাহানির রাজনীতি নয়, ২০২৫ হবে শান্তির বীজ বপনের সাল। যুদ্ধ, অস্ত্র বা হানাহানির মহড়া হবে না, থেমে যাবে সব যুদ্ধ-সন্ত্রাস।