সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় থাকা রাশিয়ার সেনাঘাঁটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। রাশিয়া তার সব সেনা ও সরঞ্জাম সরিয়ে নেয়নি। তবে গত কয়েকদিনে রাশিয়া থেকে অনেকগুলো ফ্লাইট উত্তর আফ্রিকা ও ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী দেশ লিবিয়াতে অবতরণ করেছে। সিএনএন-এর খবরে বিষয়টি উঠে এসেছে।
সিএনএন জানিয়েছে, সেখানে থেকে আফ্রিকা এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অভিযান চালানোর জন্য রাশিয়া লিবিয়ার আল-খাদিম ঘাঁটিতে তাদের সেনা মোতায়েন শুরু করেছে। রাশিয়া বহু বছর ধরেই আল-খাদিম ঘাঁটিতে জেনারেল হাফতারের বাহিনীকে ভাড়াটে সেনা ও অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে আরও জানায়, আসাদ সরকারের পতনের পর, মস্কোর আন্টনভ এএন-১২৪ এবং ইলিশিন আইএল-৭৬ বিমানগুলো প্রতিদিন সিরিয়ার খামেইমিম ঘাঁটি থেকে আল-খাদিমে যাতায়াত করছে। এই ঘাঁটি লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে, জেনারেল খলিফা হাফতার-নিয়ন্ত্রিত বেনগাজির কাছে অবস্থিত।
রাশিয়া যদি লিবিয়াতে সৈন্য সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে তাহলে আফ্রিকাতে রাশিয়ার প্রভাব পশ্চিমাদের থেকে বেশি হবে কারণ ফ্রান্সের সৈন্যরা মালি ও বুরকিনা ফাসো থেকে সরে গেছে। তাছাড়া লিবিয়া থেকে আফ্রিকার অন্যান্য দেশে ভূমধ্যসাগরের বিশাল জলরাশিয়ার ওপরও নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে রাশিয়া।