বুধবার

,

৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

‘স্যার উপাধি’ পেলেন সাদিক খান

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটেনের সম্মানসূচক ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। নতুন বছরের জন্য প্রকাশিত সম্মানসূচক এই তালিকায় আরও আছেন প্রখ্যাত ব্রিটিশ লেখক স্টিফেন ফ্রাই, ইংল্যান্ডের জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। খবর গার্ডিয়ানের

এই অনন্য সম্মান পেয়ে ‘সত্যিই অভিভূত’ হয়েছেন বলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন স্যার সাদিক খান।

গত বছর মে মাসে সাদিক খান লন্ডনের তৃতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হন। ছোটবেলা থেকেই সাদিক খান নিজে যে আদর্শে বিশ্বাসী তা নিয়ে লড়তে এবং সাফল্যের জন্য সব প্রতিকূলতার মোকাবিলা করতে পিছপা হননি। আর সেই আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য তাকে যুক্তরাজ্যের অন্যতম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে তিনবার জয়ী করেছে।

সাদিক খান বলেন, দক্ষিণ লন্ডনের একটি কাউন্সিল এস্টেটে বড় হওয়া অবস্থায় আমি কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি যে একদিন আমি লন্ডনের মেয়র হব। এই শহরের সেবা করা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান। আমি লন্ডনের সব সম্প্রদায়ের জন্য ন্যায্য, নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব এবং আরও সমৃদ্ধ একটি শহর গড়ে তোলার কাজ চালিয়ে যাব।

সাদিক খান স্থানীয় প্রশাসনে ১২ বছর কাজ করেছেন। ২০০৪ সালে আইনজীবীর কাজ ছেড়ে তিনি পুরো সময়ের জন্য রাজনীতিতে যোগ দেন। ২০০৫ সালে তিনি দক্ষিণ লন্ডনের টুটিং এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনিই প্রথম মুসলিম হিসেবে পশ্চিমের উন্নত বিশ্বের কোনো দেশের বড় শহরের প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন।

রাজনীতিতে বিভিন্ন দলে তার সমসাময়িকরা বলেছেন সাদিক খান ‘খুবই বুদ্ধিদীপ্ত’ এবং ‘একগুঁয়ে’ প্রকৃতির ব্যক্তি এবং ‘তার যুক্তি খারিজ করে দেয়া প্রায়ই অসম্ভব ছিল’।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ লন্ডনের টুটিংয়ে পাকিস্তানি পরিবারে জন্ম নেওয়া স্যার সাদিক মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। সুযোগ-বঞ্চিত পরিবারের ছেলে সাদিক খান তার বাবা-মায়ের আট সন্তানের একজন। পাকিস্তান থেকে লন্ডনে আসা সাদিক খানের বাবা ছিলেন বাসচালক এবং মা জীবিকা নির্বাহের জন্য সেলাইয়ের কাজ করতেন।