সোমবার

,

৬ই জানুয়ারি, ২০২৫

আমেরিকায় তিনটি হামলার যোগসূত্র খুঁজছে এফবিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকার নতুন বছরটা শুরু হলো আতঙ্ক ও রক্তপাত নিয়ে। প্রথম দিনেই দেশটিতে তিনটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ১৬ জন। আহত হয়েছেন অনেকে। জড়িত সন্দেহে কাউকে আটক করা যায়নি। ঘটনাস্থলে সন্দেহভাজন ২ জনের প্রাণ গেছে। আলাদা তদন্ত দল তদন্ত করছে হামলাগুলো। পাশাপাশি হামলাগুলোর মধ্যে কোনো যোগসাজশ আছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) তদন্তকারীদের। এ সন্দেহের সত্যতা যাচাইয়ে এরই মধ্যে কাজও শুরু করেছেন তাঁরা। এফবিআইয়ের পাশাপাশি এ ঘটনা তদন্ত করছে দেশটির পুলিশ।

প্রথম হামলাটি ঘটে স্থানীয় সময় বুধবার লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নিউ অরলিয়েন্স শহরে। সেখানে নববর্ষ উৎসবে যোগ দেওয়া লোকজনের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেন এক ব্যক্তি। তিনি আমেরিকার সাবেক সেনা সদস্য ছিলেন। ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর ব্যবহার করা গাড়িতে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পতাকা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় হামলাকারীসহ ১৫ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হন।

এর কয়েক ঘণ্টা পরে নেভাদার লাস ভেগাসে ট্রাম্প হোটেলের বাইরে টেসলার তৈরি একটি ‘সাইবার ট্রাকে’ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে নিহত হন ট্রাকের চালক। তিনিও আমেরিকার সামরিক বাহিনীর সদস্য ছিলেন। ওই ঘটনায় আহত হন সাতজন।

তৃতীয় ঘটনায় দেখা যায়, বুধবার রাতে নিউ ইয়র্কে একটি ক্লাবের বাইরে কয়েকজন গুলি চালায়। এতে আহত হন ১০ জন।

এসব হামলা কোনো বড় পরিকল্পনার অংশ কি না, তা নিয়ে অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যেমন মার্কিন লেখক সেন হেস্টিংস বলেছেন, ‘নিউ অরলিয়েন্সের হামলা এবং লাস ভেগাসে সাইবার ট্রাকে বিস্ফোরণ অবিশ্বাস্য রকমের কাকতালীয় ঘটনা। অথবা আমরা আমেরিকাজুড়ে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী হামলা হতে দেখছি। লাস ভেগাসের হামলায়ও যদি আইএস যুক্ত থাকে, তাহলে আমরা বড় সমস্যায় পড়েছি।’

নিউ অরলিয়েন্সের হামলাকে ‘সন্ত্রাসবাদ’-সংশ্লিষ্ট বলে উল্লেখ করেছে দেশটির প্রশাসন। এর সঙ্গে সাইবার ট্রাকের বিস্ফোরণের কোনো সংযোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে এখন পর্যন্ত এমন কোনো তথ্য সামনে আসেনি বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। আপাতত তদন্তকারীরাও একই কথা বলছেন।