মার্চ থেকে আমদানি ও রপ্তানির সব কার্যক্রম অনলাইনে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার আংশিকভাবে বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো (বিএসডব্লিউ) চালু করেছে সরকার। রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে বিএসডব্লিউ-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা এ কথা জানান।
‘বিএসডব্লিউ’ চালু করার বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম বড় সাফল্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে পুরো ব্যবসায় একটি পরিবর্তন আসবে। এই ধরনের একটি সিস্টেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ যদি পুরোপুরি ডিজিটাইজড না হই, তাহলে আমরা এগিয়ে যেতে পারব না।’
২০১৭ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ করে আমদানি ও রফতানি প্রক্রিয়া সহজ করার লক্ষ্যে সাতটি সংস্থাকে একই ব্যবস্থার অধীনে এনে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর (এনএসডব্লিউ) চালু করে। এখন থেকে এটি ‘বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো’ (বিএসডব্লিউ) নামে পরিচালিত হবে। ফেব্রুয়ারি থেকে এই সাতটি সংস্থা কোনো কাগজপত্রের ব্যবহার করবে না। তাদের সব কার্যক্রম অনলাইনে হবে।
বিএসডব্লিউ’র আওতায় আসা সাত সংস্থা হল- পরিবেশ অধিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ন্যাশনাল অথরিটি ফর কেমিক্যাল উইপনস কনভেনশন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, ডিজিডিএর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. শামীম হায়দার ও বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির পর থেকে আমদানি ও রপ্তানি সংশ্লিষ্ট ১৯টি ডিপার্টমেন্টের যত ধরনের লাইসেন্স সংক্রান্ত বিষয়ে আছে, এতে কোনো ম্যানুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে না, সব অনলাইনে করতে হবে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে এ খাতে অনেক বরাদ্দ দেওয়া হলেও বাস্তবে তা ব্যয় হয়নি, বরং চলে গেছে। এই ধরনের একটি সিস্টেমকে ফলাফল-ভিত্তিক এবং সময়-নির্ধারিত হিসাবে তৈরি করার উপর জোর দিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা একটি ডিজিটাল অর্থনীতি এবং ডিজিটাল দেশ গড়তে চাই এবং আসুন বিএসডব্লিউ দিয়ে শুরু করি।’
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিএসডব্লিউ চালু হলে দেশ ধীরে-ধীরে কাগজ-বিহীন সংস্কৃতিতে পরিণত হবে। তিনি আরো বলেন, আন্তঃ-এজেন্সি সমন্বয়ের ক্ষেত্রে আরও ডিজিটালাইজেশন প্রচেষ্টার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।