মঙ্গলবার

,

৭ই জানুয়ারি, ২০২৫

জনগণ ও গণতন্ত্রের পক্ষে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ খালেদা জিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মঙ্গলবার রাতে লন্ডন যাচ্ছেন। সেই কারণে দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে খালেদা জিয়ার বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সকলের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির চেয়ারপারসন এ নির্দেশনা দেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার একথা জানান।

লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, কিডনি সমস্যাসহ নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় দীর্ঘদিন ভুগতে থাকা ৭৯ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া মঙ্গলবার রাতে প্রথমে লন্ডনে তাঁর ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে যাবেন।

লন্ডনে ছেলের বাসায় কয়েকদিন অবস্থানের পর বিএনপি চেয়ারপারসন লিভারের উন্নত চিকিৎসার জন্য আমেরিকা যাবেন বলেও জানান তিনি।

আমেরিকার মেরিল্যান্ডে জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি হাসপিটালের মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি কেয়ার ইউনিটে খালেদা জিয়া লিভার ট্রান্সপ্লান্টের চিকিৎসা নেবেন। ইতোমধ্যে তার যাবতীয় চিকিৎসার কাগজপত্র, বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্টসমূহ সেখানে পাঠানো হয়েছে।

এই হাসপাতালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত ২৬ অক্টোবর ঢাকায় এসে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার লিভার ও পেটের ফ্লুইড জমা ও রক্তক্ষরণ রোধে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিশেষ পদ্ধতি টিআইপিস-টিপস সম্পন্ন করেছিলেন। তাদের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম বিএনপি চেয়ারপারসনের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

লন্ডন যাত্রার সব প্রস্তুতি শেষ হওয়ার পর রোববার রাত ৯টায় গুলশানে তার বাসা ‘ফিরোজা’য় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

‘ফিরোজা’ থেকে বেরিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লন্ডন যাত্রার দিনক্ষণ আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে বলেন, ‘আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমাদের নেত্রী তার চিকিৎসার জন্য ৭ জানুয়ারি রাতে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। সেই কারণে আমরা জাতীয় স্থায়ী কমিটির সকল সদস্য উনার কাছে এসেছিলাম শুভেচ্ছা জানাতে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা দোয়া করছি তাঁর (খালেদা জিয়ার) যাত্রা যেন সফল হয় এবং তিনি সুচিকিৎসা নিয়ে আবার ফিরে আসতে পারেন।’

কবে নাগাদ বেগম জিয়া ফিরবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো চিকিৎসকরা বলতে পারেন। আমরা আশা করি উনি চিকিৎসা শেষে খুব শিগগিই দেশে ফিরে আসবেন।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সালাহউদ্দিন আহমেদ, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও এজেডএম জাহিদ হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেন।