বুধবার

,

৮ই জানুয়ারি, ২০২৫

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

কানাডায় ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির শীর্ষনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার অটোয়ায় স্থানীয় সময় সোমবার সকালে নিজ বাসভবনের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের কথা জানান তিনি। এসময় ট্রুডো বলেন, লিবারেল পার্টি তাদের নতুন নেতা নির্ধারণের পর তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকেও সরে যাবেন। সংবিধান অনুযায়ী কানাডায় ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষনেতাই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন জাস্টিন ট্রুডো।

লিবারেল পার্টির নেতা ট্রুডো ৯ বছর ধরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেন, নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর তিনি পদত্যাগের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর সফলতার পেছনে পরিবারের ভূমিকা রয়েছে। গত রাতে নৈশভোজের সময় সন্তানদের কাছে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, কয়েক মাস ধরে বাধার কারণে পার্লামেন্ট পুরোপুরি অচল হয়ে আছে। একই সঙ্গে কয়েক মাস ধরে উৎপাদনশীলতার ঘাটতি রয়ে গেছে।

ট্রুডো বলেন, এখন নতুন করে শুরু করার সময়। কানাডার রাজনীতিতে উত্তাপ কমিয়ে আনার জন্য তা দরকার।

তিনি বলেন, ‘প্রতি সকালে যখন আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জেগেছি, কানাডিয়ানদের ভিন্ন মত মেনে নেওয়ার সক্ষমতা, উদারতা ও সংকল্প আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে।’

ট্রুডো আরও বলেন, ‘আমি এই দেশের জন্য, আপনার জন্য লড়াই করেছি।’

তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে চলাা ট্রুডো বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই ‘জটিল’ সময়ে দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য পার্লামেন্টে একটি নতুন শুরু দরকার।

আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত পার্লামেন্ট অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেছেন তিনি।

ট্রুডো ২০১৫ সালে লিবারেল পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে প্রথমবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ন। এরপর প্রায় এক দশক ধরে দেশটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তিনি। সর্বশেষ ২০২১ সালে ট্রুডোর নেতৃত্বে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে লিবারেল পার্টি।

আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে কানাডায় নতুন নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে দলীয় নেতৃত্ব ও প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হলেন ট্রুডো।

পদত্যাগের জন্য বিরোধীদের পাশাপাশি নিজ দলের মধ্য থেকেও ট্রুডোর ওপর চাপ বাড়ছিল। এখন ট্রুডোর উত্তরসূরি কে হতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। সেই তালিকায় ট্রুডোর সরকারের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মার্ক কারনির নাম আলোচনায় রয়েছে।