মঙ্গলবার

,

৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়লো, কার্যকর ১ জানুয়ারি থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)। এখন থেকে ছয় মাস পর পর বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে প্রচলিত পাঁচ ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদহার নির্ধারণ করা হবে। বুধবার সঞ্চয়পত্রের সুদহার পুনর্নির্ধারণ করে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তবে নতুন সুদহার ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

সঞ্চয় স্কিমের ধরন অনুযায়ী নতুন মুনাফার হার ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত।

প্রজ্ঞাপন জারি করার পর এনবিআর থেকে বলা হয়েছে, মুনাফার হার পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্তের ফলে দেশের প্রান্তিক বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবেন এবং জাতীয় সঞ্চয় স্কিমে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবেন মর্মে আশা করা যায়। জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের মাধ্যমে মহিলা, অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী, পেনশনার, বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের বিনিয়োগের মাধ্যমে আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনার সুযোগ রয়েছে, যা সঞ্চয় স্কিম সংক্রান্ত যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের ফলে অধিকতর কার্যকর হবে মর্মেও প্রত্যাশা করা যায়।

এতদিন সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারীদের ১৫ লাখ টাকা, ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা এবং ৩০ লাখ ১ টাকার বেশি এই তিন ধাপ ছিল। নতুন মুনাফার হারে বিনিয়োগকারীদের দুটি ধাপ রাখা হয়েছে। প্রথম ধাপ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচের বিনিয়োগকারী। আর দ্বিতীয় ধাপটি হলো ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপরের বিনিয়োগকারী।

সঞ্চয়পত্রের নতুন মুনাফার হার ৫ বছর মেয়াদি ও ২ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের গড় সুদহার অনুযায়ী করা করা হয়েছে। এ দুই ধরনের ট্রেজারি বন্ডের সর্বশেষ ছয়টি নিলামকে বিবেচনায় নিয়ে নতুন মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিবার সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিট, এই পাঁচ ধরনের সঞ্চয়পত্রের নতুন মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি বছরের ১ জানুয়ারি বা তার পরে পরিবার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার কম বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীরা সাড়ে ১২ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পাবেন ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ। পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

এছাড়া পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার করা হচ্ছে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ।

এদিকে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে সঞ্চয়পত্র নগদায়নের ক্ষেত্রে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ, ৩ মাস অন্তর মুনাফা সঞ্চয়পত্রে ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ, পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ, পরিবার সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটে ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া যাবে।