রবিবার

,

২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

আমেরিকায় রোববার থেকে বন্ধ হচ্ছে টিকটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকায় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক রোববার থেকে বন্ধের হুমকি দিয়েছে এর স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স। শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে চীনা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হলেও তাদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখার জন্য অ্যাপেল বা গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হবে না, বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই আশ্বাস না পাওয়া গেলে, আমেরিকায় টিকটক ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হবে।

এর আগে গত বছর সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষরিত একটি আইনে বেইজিংভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্ট বাইটড্যান্সকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে অ্যাপটি বিক্রি করতে বলা হয়েছিল। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানটি নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে বলে জানানো হয়েছিল।

যে কারণেই হোক চীনের মালিকানাধীন অ্যাপটি আমেরিকায় রবিবার থেকে নিষিদ্ধ হতে চলেছে। এ নিয়ে আমেরিকার সোশ্যাল নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফর্মে জেন-জি প্রজন্মের মধ্যে হইচই শুরু হয়েছে। দেশটিতে টিকটক জনপ্রিয়তার শীর্ষে।

টিকটক ২০১৬ সালে ভিডিও এবং সামাজিক নেটওয়ার্ক হিসেবে চালু হয়ে পৃথিবীর দ্রুততম অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইয়েমিং। পিউ রিসার্চ দেখিয়েছে, আমেরিকায় টিকটকের ব্যবহারকারী রয়েছে ১৭০ মিলিয়ন। ১৮ থেকে ২৯ বছরের তরুণ-তরুণীরা এর প্রতি আসক্ত। শুধু আমেরিকা থেকেই প্রতিবছর টিকটক শপে লক্ষাধিক তরুণ ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে থাকেন। টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার খবরে তাঁরা (ব্যবহারকারী) নিজেদের ‘টিকটক রিফিউজি’ বলে সামাজিক প্ল্যাটফর্মে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে বলছেন, ‘রোববার থেকে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও এবং সামাজিক নেটওয়ার্ক টিকটক আমেরিকাতে বন্ধ হতে যাচ্ছে শুনে আমরা আশাহত।’

প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে যাওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকটক প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘টিকটকের জন্য আমার হৃদয়ে একটি উষ্ণ স্থান রয়েছে।’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তিনি বারবার বলেছিলেন, টিকটকে তাঁর ১৪ মিলিয়নের বেশি অনুসারী রয়েছেন। সে সময় জেনারেশন জেডের প্রিয় অ্যাপে তাঁর সাফল্য দেখে খোদ তাঁর প্রচার দলও অবাক হয়েছিল।

জানা যায়, আমেরিকায় টিকটক অ্যাপটি সংরক্ষণ করার জন্য কোম্পানির শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে ডিসেম্বরে টিকটকের প্রধান শৌ জি চেও সিঙ্গাপুর থেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডার পামবিচের মার-এ–লাগোর ক্লাবে উড়ে যান।