রবিবার

,

২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতিতে অনলাইনে ফিরেছে টিকটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকায় বন্ধ হওয়ার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর, টিকটক ব্যবহারকারীর কাছে ফিরে এসেছে। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপের ফলে অ্যাপটি ফিরে এসেছে।

টিকটক কর্তৃপক্ষ ব্যবহারকারীদের একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বার্তা জানিয়েছে। স্বাগত বার্তায় লেখা ছিল: ‘আপনার ধৈর্য এবং সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রচেষ্টার ফলে, টিকটক আমেরিকায় ফিরে এসেছে!’

এর আগে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার এনবিসি নিউজের ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক ফোন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি ৯০ দিনের জন্য টিকটকের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারেন। সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওভাল অফিসে যোগ দেওয়ার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

ট্রাম্প বলেন, ‘৯০ দিনের এই সময়সীমা দেওয়া হতে পারে, কারণ এটি যথোপযুক্ত। আমাদের বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।’

২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি আইন স্বাক্ষর করেন, যা বাইটড্যান্সকে টিকটকের আমেরিকায় কার্যক্রম বিক্রি করতে বাধ্য করে। বিক্রয় না হলে অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হবে। তবে, বিক্রয়ের জন্য আইনি প্রক্রিয়া ও অগ্রগতি নিশ্চিত হলে প্রেসিডেন্ট ৯০ দিনের এককালীন সময়সীমা বাড়ানোর সুযোগ রাখতে পারেন।

এখন পর্যন্ত এমন কোনো আইনি চুক্তি প্রকাশ্যে আসেনি। বিশাল পরিমাণ অর্থ খরচ করে যদি কোনো ক্রেতা এগিয়ে আসে, তবেই বিক্রয়ের প্রক্রিয়া এগোতে পারে।

বাইডেন প্রশাসন অবশ্য বারবার জানিয়েছে, তারা টিকটক নিষিদ্ধে পাস হওয়া আইন কার্যকর করার পরিকল্পনা করছে না এবং এই দায়িত্ব ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছে। তবে, টিকটক শুক্রবার জানায়, হোয়াইট হাউসের আশ্বাস যথেষ্ট নয়। সুনির্দিষ্ট আইনি দিক ও পরিষেবা সরবরাহকারীদের বিষয়ে নিশ্চিয়তা না পাওয়া গেলে অ্যাপটি রোববার-ই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জ্যঁ-পিয়ের টিকটকের ‘বন্ধ হওয়ার’ পরিকল্পনাকে ‘একটি স্টান্ট’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা টিকটকের সাম্প্রতিক বিবৃতি দেখেছি। এটি একটি স্টান্ট। ট্রাম্প প্রশাসন সোমবার দায়িত্ব নেওয়ার আগে কোনো অ্যাপ বা কোম্পানির পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন নেই।’

টিকটক নিয়ে ট্রাম্পের বর্তমান নীতিমালা তার প্রথম মেয়াদের সময় নেওয়া অবস্থান থেকে ভিন্ন। তখন তিনি টিকটক ও চীনা অ্যাপ উইচ্যাট নিষিদ্ধের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, যা আদালতে স্থগিত হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি অ্যাপটির জনপ্রিয়তা এবং আমেরিকান বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক বিবেচনা করে এই বিষয়ে নমনীয়তা দেখাচ্ছেন।