আবারও কানাডাকে অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বেশ কয়েক মাস ধরে তিনি তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে নৈশভোজের সময় সামনাসামনি ‘কানাডার গভর্নর’ বলেও অভিহিত করেছিলেন ট্রাম্প।
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে দেওয়া ভার্চুয়াল বক্তব্যে কানাডাকে আমেরিকার অঙ্গরাজ্যে পরিণত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সিবিএস।
ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা সম্ভবত এটা জানেন, তাও বলছি, চাইলেই আপনারা (আমেরিকা) অঙ্গরাজ্য হতে পারে। আর যদি অঙ্গরাজ্য হতে সম্মত হন, তাহলে আরও কোনো (বাণিজ্য) ঘাটতি থাকবে না। আপনাদের পণ্যে শুল্ক আরোপেরও প্রয়োজন থাকবে না।’
এর আগে আগামী সপ্তাহেই কানাডার পণ্য আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে পরবর্তীতে এক নির্বাহী আদেশে তিনি সময়সীমা খানিকটা বাড়িয়েছেন।
আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে উত্তর আমেরিকার সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো নিরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। নিরীক্ষা শেষে শুল্ক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
ভিডিও লিংকের মাধ্যমে দেওয়া তার বক্তব্য ও প্রশ্নোত্তর পর্বে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে—আমেরিকার বাণিজ্যিক স্বার্থসিদ্ধিতে ঘনিষ্ঠ মিত্রদেরকেও কোনো ছাড় দিতে আগ্রহী নন ট্রাম্প।
তবে এ ক্ষেত্রে দুই দেশের জনমত ভিন্ন।
রয়টার্স, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও ইকোনোমিস্টের জরিপে জানা গেছে, আমেরিকানরা একেবারেই চান না আমেরিকার অন্তর্ভুক্ত হোক কানাডা।
অপরদিকে, কানাডীয়দের মধ্যে পরিচালিত ইপসোসের এক জরিপে দেখা গেছে, ৪৩ শতাংশ নাগরিক আমেরিকা অঙ্গরাজ্য হওয়ার বিষয়টিতে আগ্রহী। তবে তারা শর্ত দিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে তাদেরকে আমেরিকার নাগরিকের মর্যাদা দিতে হবে।
এদিকে কানাডাও জানিয়েছে তারা ট্রাম্পের এসব হুমকির জবাব দেবে। আমেরিকার শুল্ক আরোপের বিপরীতে তারাও পাল্টা পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, শুল্ক আরোপ করা হলে জবাব দেওয়ার জন্য সবকিছু আলোচনার টেবিলে আছে।