আমেরিকার সিনেট শনিবার পিট হেগসেথকে পেন্টাগন প্রধান হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, তিনজন রিপাবলিকান সিনেটর ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের বিরুদ্ধে ভোট দেন। এতে পক্ষে-বিপক্ষে ভোট সমান (৫০-৫০) হয়ে যায়। এসময় ১০০ সদস্যের সিনেটে উভয় পক্ষে সমান ভোট পড়ায় অচলাবস্থা নিরসনে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স চূড়ান্ত ভোট দিয়ে অচলাবস্থা নিরসন করেন। মন্ত্রিসভার কোনো প্রার্থীকে বাঁচাতে ভাইস প্রেসিডেন্টকে হস্তক্ষেপ করার এ ঘটনা আমেরিকার ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো ঘটল।
এভাবে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ বেসামরিক পদে পিট হেগসেথের যোগ্যতা নিয়ে সিনেটের গত কয়েক দিনের বিতর্কের পরে অনুষ্ঠিত এই ভোটে তাঁর মনোনয়ন অনুমোদন লাভ করে।
পিট হেগসেথ এমন এক সময় পেন্টাগনের দায়িত্ব নিচ্ছেন যখন ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে, লেবানন এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেও মধ্যপ্রাচ্য অস্থির এবং ট্রাম্প আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে নিরাপত্তার জন্য সামরিক বাহিনীর ভূমিকা বাড়াচ্ছেন।
৪৪ বছর বয়সী হেগসেথ একজন সাবেক আর্মি ন্যাশনাল গার্ড অফিসার। তিনি ট্রাম্পের অন্যতম প্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল ফক্স নিউজের কো-হোস্ট হিসেবে কাজ করছিলেন।
তার সমর্থকরা বলছেন, আফগানিস্তান ও ইরাকে তার অভিজ্ঞতা তাকে প্রতিরক্ষা বিভাগ পরিচালনার জন্য অন্যদের তুলনায় বেশি যোগ্য করে তুলেছে।
তবে অভিযোগ উঠেছে, রিপাবলিকানরা তার অভিজ্ঞতার অভাব সত্ত্বেও তাকে অনুমোদন দিয়েছে। তিনি কখনো প্রতিরক্ষা বিভাগের মতো বিশাল কোনো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেননি। এ বিভাগে প্রায় ৩০ লাখ কর্মী কাজ করেন।
তার বিরুদ্ধে ভেটারানদের অলাভজনক সংগঠনে আর্থিক অনিয়ম, অতিরিক্ত মদ্যপান ও ক্যালিফোর্নিয়ায় এক নারীর প্রতি যৌন অসদাচরণের অভিযোগও রয়েছে।
সিনেটের শুনানিতে হেগসেথ তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোকে ‘সমন্বিত অপপ্রচার’ বলে অভিহিত করেন।’
ডেমোক্র্যাট সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন বলেন, ট্রাম্প প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ায় হেগসেথ ‘অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বড় বড় কাজ করেছেন’
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘পিট খুব ভালো মানুষ।’