রবিবার

,

২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

কানাডা-মেক্সিকোর পণ্যে শনিবার থেকে ২৫% শুল্ক : ট্রাম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার থেকে কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসছে। বৃহস্পতিবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আগের ঘোষণা অনুযায়ীই কাজ করবেন তিনি। তবে দেশ দুটি থেকে আসা তেলের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো বিপুলসংখ্যক অবৈধ অভিবাসীর আগমন এবং আমেরিকার সীমান্ত দিয়ে ফেন্টানাইল মাদক প্রবেশ ঠেকানো। পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো।

ট্রাম্প আরো বলেন, তিনি চীনের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন, যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি। জানুয়ারিতে চীনের পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘চীনের বিষয়েও আমি চিন্তা-ভাবনা করছি।

কারণ তারা আমাদের দেশে ফেন্টানাইল পাঠায়। এ কারণে আমেরিকার লাখো মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। তাই চীনা পণ্যের ওপরও শুল্ক বসবে। আর এমনটা করার প্রক্রিয়া চলছে।

গত বছর নির্বাচনী প্রচারে চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নেওয়ার পর তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নেননি। বরং তাঁর প্রশাসনকে বিষয়টি পর্যালোচনার নির্দেশ দেন।

২০১৮ সাল থেকে আমেরিকায় চীনের পণ্য আমদানি কমেছে। এ জন্য ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আরোপিত ধারাবাহিক শুল্ক বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন অর্থনীতিবিদরা।

জানুয়ারির শুরুতে চীনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা সুরক্ষাবাদ অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষায় বৈদেশিক পণ্যে বিধি-নিষেধ আরোপের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। কারণ ট্রাম্প পুনরায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা অনেক বেড়ে গেছে। যদিও আমেরিকার নাম উল্লেখ করেননি তিনি।

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী ডিং শেসিয়াং বলেন, তাঁর দেশ বাণিজ্য উত্তেজনা কমানোর উপযুক্ত সমাধান খুঁজছে এবং আমদানি সম্প্রসারণ করতে চাইছে।

কানাডা ও মেক্সিকো বলেছে, তারা নিজস্ব পদ্ধতিতে আমেরিকার শুল্কারোপের প্রতিক্রিয়া জানাবে। পাশাপাশি তারা ওয়াশিংটনকে আশ্বস্ত করতে চাইছে যে, সীমান্ত নিয়ে উদ্বেগ দূর করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

যদি কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আনা তেলে আমেরিকা শুল্ক আরোপ করে, তাহলে জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো যে প্রতিশ্রুতি ট্রাম্প দিয়েছেন তা রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। জ্বালানির ওপর শুল্ক আরোপের খরচ ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হতে পারে। এতে পেট্রল থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে পারে। আমেরিকার শোধনাগারে যাওয়া অপরিশোধিত তেলের ৪০ শতাংশই আমদানি করতে হয়, যার বেশির ভাগ আসে কানাডা থেকে।