রাশিয়ার সামরিক বিমান আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমার ওপর দিয়ে উড়ার পর, পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে জাপান। শুক্রবার টোকিওর শীর্ষ সরকারি মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরটি প্রকাশ পেয়েছে।
হায়াশি জানান, ওখোটস্ক সাগর ও জাপান সাগরের গভীর সমুদ্রের ওপর দিয়ে রাশিয়ার ‘তুপোলেভ নাইন্টি ফাইভ’ মডেলের দু’টি বোমারু বিমান উড়তে দেখা গেছে। এ ঘটনায় জাপানের এয়ার সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সের যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “রাশিয়ার সামরিক বাহিনী জাপানের আশপাশের এলাকায় নিয়মিত সক্রিয় থাকছে। তাদের সাম্প্রতিক উড়ানের উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়, তবে আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।”
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, টিইউ-৯৫ বোমারু বিমান মূলত রাশিয়ার পরমাণু প্রতিরক্ষাব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।
এর আগে, গেল মঙ্গলবার আর্কটিক অঞ্চলের আকাশসীমায় ‘টিইউ- ওয়ান সিক্সটি মডেলের বোমারু বিমানের মহড়া চালায় মস্কো। ঐ মহড়া চলাকালে ১১ ঘণ্টারও বেশি সময় আকাশে ছিল বিমানটি।
এ ধরনের সামরিক কর্মকাণ্ড নিয়ে জাপান এর আগেও কূটনৈতিকভাবে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেছে। বিশেষ করে, গত বছর সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার এক যুদ্ধবিমান জাপানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করেছিল বলে অভিযোগ করে টোকিও। তবে মস্কো এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
হায়াশি বলেন, “আমরা আমাদের আকাশসীমা রক্ষায় কঠোর টহল ও পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাব এবং প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া জানাব।”
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার টেলিগ্রামে জানায়, তাদের দুটি দূরপাল্লার বোমারু বিমান আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমার ওপর দিয়ে উড়েছে। মন্ত্রণালয় প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, “তুপোলেভ নাইন্টি ফাইভ” মডেলের দুটি বিমান আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
তবে মস্কো দাবি করেছে, “রাশিয়ার অ্যারোস্পেস ফোর্সেসের সব ফ্লাইট আন্তর্জাতিক আকাশসীমা ব্যবহারের নিয়ম মেনেই পরিচালিত হয়।”