কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় চীনের উত্থান ঠেকাতে আমেরিকা একের পর এক পদক্ষেপ নিলেও লাভ হয়নি। চীন ঠিকই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে। ফলে আগামী দিনে এআইয়ের বাজারে আমেরিকা-চীন লড়াই আরো জমে উঠবে সন্দেহ নেই। কারণ আমেরিকার এআই কম্পানিগুলোর পাশাপাশি চীনা কম্পানিগুলোও আরো শক্তিশালী নতুন এআই মডেল আনতে প্রতিযোগিতা করছে।
২০২২ সালে ‘চ্যাটজিপিটি’ লঞ্চ করে বিশ্বজুড়ে হৈচৈ ফেলে দেয় আমেরিকার প্রতিষ্ঠান ওপেন এআই। এরপর একে একে এসেছে গুগলের ‘জেমিনাই’, মেটার ‘লামা’, মাইক্রোসফটের ‘কোপাইলট’। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নতুন নতুন সংস্করণ আমেরিকার অবস্থানকে ক্রমাগত শক্তিশালী করে। এমনকি দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হয়েই ডোনাল্ড ট্রাম্প এআইতে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেন। সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেয় ওপেন এআই, ওরাকল ও সফটব্যাংকের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠান।
চীনকে এআইয়ের অ্যাডভান্স প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখতে আমেরিকা এআই চিপ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
গত ২০ জানুয়ারি চীনা কম্পানি ডিপসিক বাজারে আনে বিশেষায়িত এআই মডেল ‘ডিপসিক আর১’। সবাইকে অবাক করে দিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে চ্যাটজিপিটিকে ছাড়িয়ে অ্যাপল স্টোরের সর্বোচ্চ রেটিংধারী অ্যাপ্লিকেশন হয়ে ওঠে ডিপসিক। ডিপসিকের আর১ ও ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বাজারে আসা ভি৩—দুটি মডেলই চ্যাটজিপিটি, জেমিনাইয়ের মতো পশ্চিমা মডেলগুলোর সমান, কিছু ক্ষেত্রে আরো ভালো কার্যক্ষমতা প্রদর্শন করছে।
ডিপসিকের পারফরম্যান্স শীর্ষস্থানীয় আমেরিকার এআই মডেলগুলোর সমতুল্য বলে মনে করছেন আমেরিকার এআই এক্সপার্টরা।
এদিকে ডিপসিক নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে তখন চীনের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আলিবাবা তাদের এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) মডেল কুয়েনের একটি নতুন সংস্করণ প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, সক্ষমতায় চ্যাটজিপিটি ও বহুল আলোচিত চীনা এআই ডিপসিকের চেয়েও বেশি শক্তিশালী এই সংস্করণ।