আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসে প্রতিবারের মতো এবারও বসে গ্র্যামির আসর। ৬৭তম আয়োজনে বিশ্বখ্যাত তারকাদের দ্যুতিতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে এই সেরা অনুষ্ঠান।
রবিবার রাতে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় আমেরিকার সবচেয়ে সম্মানজনক এই সঙ্গীত পুরস্কার। এবারের গ্র্যামিতে ইতিহাস গড়লেন কৃষ্ণাঙ্গ সংগীতশিল্পী বিয়ন্সে। এখন পর্যন্ত ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গ্র্যামি পেয়েছেন এই শিল্পী। এবার আরও এক নতুন ইতিহাস গড়লেন তিনি।
৫০ বছর পর এই প্রথমবার কোনো কৃষ্ণাঙ্গ সংগীতশিল্পী গ্র্যামি জিতেছেন ‘বেস্ট কান্ট্রি অ্যালবাম’ বিভাগে। গত বছর মুক্তি পেয়েছিল বিয়ন্সের অ্যালবাম ‘কাউবয় কার্টার’। কান্ট্রি মিউজিকের এই অ্যালবামের জন্যই ১১টি গ্র্যামির জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন বিয়ন্সে। এবারের গ্র্যামিতে এতগুলো মনোনয়ন আর কেউ পাননি।
বিয়ন্সের হাতে গ্র্যামি তুলে দেন টেইলর সুইফট। এ সময় গায়িকা বলেন, ‘আমি সবাইকে অনুপ্রেরণা জোগাতে চাই, যেন নিজের প্যাশন নিয়েই যেন সবাই কাজ করেন।’
গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের ৬৭তম আসরে সবচেয়ে সফল শিল্পী ছিলেন কেন্ড্রিক লামার। সাতটি শাখায় মনোনীত হয়ে বছরের সেরা রেকর্ড এবং সেরা গানসহ পাঁচটি শাখায় গ্র্যামি জেতেন তিনি।
চতুর্থবারের মতো গ্র্যামি জয় করলেন জনপ্রিয় কলম্বিয়ান সংগীতশিল্পী শাকিরা। ‘লাস মুজেরেস ইয়ো না লোরান’ অ্যালবামের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন শাকিরা। এদিন শাকিরার হাতে পুরস্কার তুলে দেন মার্কিন তারকা জেনিফার লোপেজ। সে সময় দর্শক আসনে উপস্থিত ছিলেন শাকিরার দুই সন্তান মিলান এবং সাশা।
পুরস্কার হাতে নিয়ে রীতিমতো আবেগি হয়ে পড়েন গায়িকা। এরপর বক্তব্যের শুরুতে আমেরিকার ভয়াবহ দাবানলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বলেন তিনি। এরপর তার পাওয়া পুরস্কার ‘অভিবাসী ভাইবোন’দের উৎসর্গ করেন শাকিরা। বলেন, আমি আমার পুরস্কার অভিবাসী ভাইবোনদের উৎসর্গ করছি। তারা ভালোবাসার যোগ্য। তাদেরই এটা প্রাপ্য। আমি সবসময় তাদের লড়াইয়ের পাশে আছি।
এ বছর সেরা নতুন আর্টিস্ট শাখায় গ্র্যামি জয় করেন চ্যাপেল রৌন।