বৃহস্পতিবার

,

১০ই এপ্রিল, ২০২৫

ইংলিশ চ্যানেলে অভিবাসীবাহী নৌকা থামাতে যুক্তরাজ্য-ফ্রান্সের চুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

মানবপাচারকারী চক্রগুলোকে ভেঙে দিয়ে ইংলিশ চ্যানেলে অভিবাসীবাহী ছোটো নৌকা থামাতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স৷ এ লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে একটি ‘রোডম্যাপ’ চুক্তিতে সই করেছে দেশ দুটি৷

বৃহস্পতিবার দুই দেশের মধ্যে ‘রোডম্যাপ’ চুক্তিটি সই হয়েছে৷ ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ছিলেন যুক্তরাজ্যের সীমান্ত নিরাপত্তা কমান্ডার মার্টিন হিউইট এবং ফরাসি অভিবাসন বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি প্যাট্রিক স্টেফানিনি৷

৫ মার্চ ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা হোম অফিসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সেদিন ২১০ জন অনিয়মিত অভিবাসী ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে ফরাসি উপকূল থেকে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন৷ পরদিনই প্যারিসে স্টেফানিনির সঙ্গে দেখা করেন মার্টিন হিউইট৷

হোম অফিস জানিয়েছে, হিউইট এবং স্টেফানিনি ‘রোডম্যাপ’ চুক্তিতে বাস্তবায়নে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত চারটি শীর্ষ অগ্রাধিকার চূড়ান্ত করেছেন৷

এগুলোর মধ্যে আছে: মানবপাচারকারী চক্রগুলো ভেঙে দেয়া, অনিয়মিত অভিবাসীদের বিপজ্জনক যাত্রা থেকে বিরত রাখা, অনিয়মিত অভিবাসীদের উৎস এবং ট্রানজিট দেশগুলো দ্রুত ফেরত পাঠাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া এবং অনিয়মিত অভিবাসনের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া৷

অভিবাসন ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে অংশীদারত্ব জোরদার করতে এবং নতুন এই চুক্তির অংশ হিসাবে আগামী মে মাসে ব্রিটিশ ও ফরাসি প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি ‘প্লেনারি মিটিং’ বা ‘পূর্ণাঙ্গ বৈঠক’ হওয়ার কথা রয়েছে৷

সবশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, এই বছর এখন পর্যন্ত তিন হাজার ৩৪৩ জন অনিয়মিত অভিবাসী ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন৷ সংখ্যাটি ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৫ শতাংশ, ২০২৩ সালের তুলনায় ১৬ শতাংশ এবং ২০২২ সালের তুলনায় ৫৫ শতাংশ বেশি৷

২০২৪ সালে একই সময়ে এসেছিলেন দুই হাজার ৯৮৩ জন, ২০২৩ সালে এসেছিলেন দুই হাজার ৯৫৩ জন এবং ২০২২ সালে এসেছিলেন দুই হাজার ২১২ জন অনিয়মিত অভিবাসী৷

এ বছরের ২ মার্চ ফরাসি উপকূল থেকে ১১টি নৌকা নিয়ে ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে একদিনে ৫৯২ অভিবাসী পৌঁছেছেন যুক্তরাজ্যে৷ চলতি বছর দিনের হিসাবে সংখ্যাটি এখনও সর্বোচ্চ৷চলতি মার্চের প্রথম পাঁচ দিনে যুক্তরাজ্যে এসে পৌঁছেছেন এক হাজার ৩৭৮ জন অভিবাসী৷

হোম অফিসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা সবাই ছোট নৌকায় বিপজ্জনক পারাপার বন্ধ করতে চাই৷ কারণ, এটি জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং আমাদের সীমান্ত নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।’