সোমবার

,

১০ই মার্চ, ২০২৫

জাতীয় ঐক্য ও শান্তির আহ্বান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারার

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা জাতীয় ঐক্য ও শান্তির আহ্বান জানিয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনী ও পলাতক প্রেসিডেন্ট আসাদের অনুগতদের মধ্যে গত কয়েক দিন ধরে চলা সংঘর্ষে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর রোববার তিনি এ আহ্বান জানান।

দামেস্ক থেকে এএফপি জানিয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগ সংখ্যালঘু আলাউইত সম্প্রদায়ভুক্ত।

দামেস্কের একটি মসজিদে দেওয়া এক ভাষণে শারা বলেন, ‘আমাদের যতটা সম্ভব জাতীয় ঐক্য ও নাগরিক শান্তি রক্ষা করতে হবে। আল্লাহ’র ইচ্ছায়, আমরা এই দেশে একসঙ্গে বসবাস করতে সক্ষম হব।’

গত বৃহস্পতিবার সিরীয় প্রদেশ লাটাকিয়ায় আসাদের সংখ্যালঘু আলাউতি সম্প্রদায়ের সঙ্গে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘাত শুরু হয়।

এই হামলাকে ডিসেম্বরে আসাদের পতনের পর সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় সহিংস হামলার ঘটনা বলে অভিহিত করেছে সিরিয়ার যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।

গত বছরের ডিসেম্বরে শারার ইসলামপন্থী জোট আসাদকে উত্খাত করার পর বিষয়টি নতুন সরকারের বাহিনীর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, লাতাকিয়া ও তারতুস প্রদেশে আলাউতি সম্প্রদায়ের ৭৪৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। নিরাপত্তাকর্মী বা সরকারপন্থী যোদ্ধারা এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। এ সময় ‘ঘরবাড়ি ও সম্পত্তি লুটপাটের’ ঘটনা ঘটেছে বলে ব্রিটেনভিত্তিক সংস্থাটি জানিয়েছে।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের হিসাব অনুযায়ী, এ লড়াইয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর ১২৫ জন সদস্য ও আসাদপন্থী ১৪৮ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছে।

এতে সংঘাতে মোট নিহতের সংখ্যা এক হাজার ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

শনিবার সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা জানায়, শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে লাতাকিয়াসহ পাশের দক্ষিণে জাবলেহ ও বানিয়াসে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

বানিয়াসের বাসিন্দা ৬৭ বছর বয়সী সামির হায়দার এএফপিকে বলেন, তাঁর দুই ভাই এবং তাঁর ভাগ্নিকে ‘সশস্ত্র গোষ্ঠী’ হত্যা করেছে। তারা মানুষের বাড়িতে প্রবেশ করে এই হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে বিদেশিরাও ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

সামির হায়দার আলাউতি সম্প্রদায়ের হওয়ার পরও আসাদের বামপন্থী দলের বিরোধী ছিলেন। আসাদের শাসনামলে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি কারাবন্দিও ছিলেন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হাসান আবদুল গনি বলেছেন, আসাদের অনুগতরা যে এলাকাগুলোতে আক্রমণ চালিয়েছিল সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী ‘ফের নিয়ন্ত্রণ’ প্রতিষ্ঠা করছে। সানার পোস্ট করা একটি ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা গেছে, ‘কারো বাড়িতে ঢোকা কিংবা বাড়ির ভেতরে গিয়ে কাউকে হামলা চালানো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।’