বৃহস্পতিবার

,

১০ই এপ্রিল, ২০২৫

আমেরিকায় পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকার অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি চীনা পণ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপে দেশটির বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির সম্ভাবনা বেড়েছে। প্রবৃদ্ধির এ হার চােখে পড়ার মতো। এ বছরের জানুয়ারিতে আমেরিকায় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৫.৯৩ শতাংশ। দেশটিতে তৈরি পোশাক রফতানির প্রবৃদ্ধিতে শীর্ষ অবস্থানে এখন বাংলাদেশ।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এ প্রসঙ্গে দেশের রপ্তানিকারকরা বলছেন, মূলত তিনটি কারণে আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। এর মধ্যে আছে মন্দাভাব কাটিয়ে আমেরিকার অর্থনীতি ভালোর দিকে যাওয়ায় দেশটির মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। দ্বিতীয়ত, ট্রাম্প সরকার চীনের ওপর অস্বাভাবিক হারে শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের বাজারের দিকে আরো বেশি ঝুঁকেছে আমেরিকার ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

তৃতীয়ত, গত আগস্টের পর থেকে টানা তিন-চার মাস যে চরম অস্থিরতা চলেছে গার্মেন্টস খাতে, সে অস্থিরতা কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে এ খাত। এর ফলে কারখানায় উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে। এসব কারণেও আমেরিকার বাজারসহ বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে আমেরিকার বাজারে ৮০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা।

এ রপ্তানি গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় ৪৫.৯৩ শতাংশ বেশি। প্রবৃদ্ধির এ হার চীন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ভারতসহ শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

আমেরিকার বাজারে পোশাক রপ্তানিতে চীনের প্রবৃদ্ধি ১৩.৭২ শতাংশ, ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি ১৯.৯০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার প্রবৃদ্ধি ৪১.৭০ শতাংশ, ভারতের প্রবৃদ্ধি ৩৩.৬৪ শতাংশ, মেক্সিকোর প্রবৃদ্ধি মাত্র ১.২৬ শতাংশ, কম্বোডিয়ার প্রবৃদ্ধি ২৯.৯৫ শতাংশ, পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি ১৭.৫০ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রবৃদ্ধি ৫.৫৪ শতাংশ।

তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা বলছেন, চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। এতে চীন থেকে আমেরিকার ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয়াদেশ সরাবে। ফলে বাড়তি ক্রয়াদেশ বা অর্ডার পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বাংলাদেশের জন্য।