শনিবার

,

১৫ই মার্চ, ২০২৫

আমেরিকার ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা ইইউ’র

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপযুদ্ধে এবার যুক্ত হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

আগামী মাস থেকে আমেরিকার পণ্যের উপর পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ইইউ।

বুধবার ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ২৬ বিলিয়ন ইউরো (২৮ বিলিয়ন ডলার) মূল্যের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হবে।

এর মধ্য দিয়ে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর আমেরিকার শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধ আরও তীব্রতর হবে।

তবে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডের লেইন জানিয়েছেন, ইউরোপ আলোচনার জন্য দরজা উন্মুক্ত রেখেছে। উচ্চ শুল্ক কারও স্বার্থে নয় বলেও মনে করেন তিনি।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত সমস্ত ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ২৫% বর্ধিত শুল্ক বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে।

ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, তারা ১ এপ্রিল আমেরিকার পণ্যের ওপর শুল্কের বর্তমান স্থগিতাদেশ শেষ করবে এবং ১৩ এপ্রিলের মধ্যে শুল্ক সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হবে।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান বলেন, আজ আমরা যে পাল্টা ব্যবস্থা নিচ্ছি, তা শক্তিশালী কিন্তু আনুপাতিক। যেহেতু আমেরিকার ২৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের শুল্ক আরোপ করছে, আমরা ২৬ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

এই শুল্ক জাহাজ থেকে শুরু করে বোরবন এবং মোটরবাইক পর্যন্ত পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ইইউ জানিয়েছে, তারা এখন অন্যান্য পণ্য বিভাগ নির্বাচন করার জন্য দুই সপ্তাহের পরামর্শ শুরু করবে।

ভন ডের লেইন বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ভূ-অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় ভরা এই বিশ্বে, আমাদের অর্থনীতির ওপর এই ধরনের শুল্ক চাপিয়ে দেওয়া আমাদের সাধারণ স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আমরা একটি অর্থপূর্ণ সংলাপে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত।

এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, শুল্ক আরোপ করলে বাণিজ্য ভারসাম্য ঠিক হওয়ার পাশাপাশি অ্যামেরিকান শিল্প কারখানায় কর্মসংস্থান তৈরি হবে। তবে ট্রাম্পের এমন দাবি উড়িয়ে দিয়ে লেইন আশঙ্কা করছেন, বাণিজ্য যুদ্ধে দুই পক্ষের চাকরি বাজারই ঝুঁকির মুখে পড়বে। একই সঙ্গে বাড়বে নিত্যপণ্যের দাম।

ট্রাম্প প্রশাসনের আগ্রাসী শুল্কনীতির সরাসরি প্রভাব এরইমধ্যে পড়তে শুরু করেছে আমেরিকার শেয়ার বাজারে। টানা দর পতনে বড় ধরনের ধস দেখছে শেয়ার বাজার। ব্লুমবার্গের মতে, এর ফলে বিনিয়োগকারীদের এক ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে।