বৃহস্পতিবার

,

১০ই এপ্রিল, ২০২৫

আমেরিকার শুল্কনীতি নিয়ে টেসলার উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতিতে জড়িয়ে নানা দিক থেকেই বিপদে আছেন ইলন মাস্ক। সরকারি ব্যয় হ্রাস বিভাগের প্রধান হিসেবে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক রুবিওর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। সেই সঙ্গে কমছে টেসলার শেয়ারের দাম এবং তাঁর সম্পদমূল্য।

এই পরিস্থিতিতে ঠেকাতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনি সহায়তার কৃতজ্ঞতা দেখাতে একপ্রকার টেসলার গাড়ি প্রদর্শনী করেছেন। ১১ মার্চ হোয়াইট হাউসের সাউথ লনে টেসলাকে প্রশংসা করেছেন এবং সেখান থেকে একটি গাড়ি কিনেছেন তিনি।

সেই ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে। ইলন মাস্কের প্রতি সমর্থন জানাতেই তাঁর ওই ঘোষণা। কিন্তু ঘটনাচক্রে সেদিনই ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি লিখেছে টেসলা।

বিবিসির সংবাদে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের বাণিজ্য শুল্ক আরোপের কারণে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে চিন্তিত টেসলা।

সে বিষয়েই চিঠি দেয় তারা। চলতি বছর এখন পর্যন্ত টেসলার শেয়ারের দাম কমেছে ৪০ শতাংশ।
টেসলার পক্ষ থেকে আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধিকে সম্বোধন করা স্বাক্ষরবিহীন চিঠির কথা জানা যাচ্ছে। সেখানে ইলন মাস্কের কম্পানি বলেছে, তারা ন্যায্য বাণিজ্যনীতির পক্ষে।

কিন্তু যে বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন, সেটা হলো অন্যান্য দেশ আমেরিকার শুল্কের ‘প্রতিশোধ’ নিলে দেশটির রপ্তানিকারকরা ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন।

টেসলার শেয়ারের দাম কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে কম্পানির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং গত বছর বিক্রি কমে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগের কথা বলেছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। চিঠিতে টেসলা জানিয়েছে, গাড়ি ও ব্যাটারির জন্য স্থানীয় সরবরাহকারীদের খুঁজে বের করতে ব্যবসার নীতিতে কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

ট্রাম্পের নির্বাচনি জয়ের পর টেসলার শেয়ার ৯১% বেড়েছিল, কিন্তু ডিসেম্বরের শীর্ষ থেকে এটি ৫০%-এর বেশি পড়ে গেছে, এবং ১০ মার্চ একদিনে ১৫% পতন প্রায় পাঁচ বছরে এর সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই ধসে একদিনে মাস্কের ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে ২৩ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। এর কারণ শুধু আমেরিকায় নয় বিশ্বব্যাপী বিক্রি কমেছে টেসলার চাহিদা। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে ইউরোপে ৫০%, চীনে ২৯%, এবং আমেরিকায় ১৬% কমে গেছে চাহিদা।

এদিকে বিশ্লেষকরা ইঙ্গিত করেছেন ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে বাজারের সামগ্রিক পতন। এবার টেসলার কর্তৃপক্ষকেই শুল্কনীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে হচ্ছে।