বৃহস্পতিবার

,

১০ই এপ্রিল, ২০২৫

কৃষ্ণ সাগরে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত রাশিয়া-ইউক্রেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

কৃষ্ণ সাগরে যুদ্ধবিরতিতে রাশিয়া ও ইউক্রেন সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে আমেরিকা। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, কৃষ্ণ সাগরে নিরাপদ নৌযান চলাচল নিশ্চিত, বলপ্রয়োগ বন্ধ এবং সামরিক লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাণিজ্যিক জাহাজের ব্যবহার বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন।

বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বন্দিবিনিময়, বেসামরিক বন্দিদের মুক্তি এবং জোরপূর্বক স্থানান্তরিত ইউক্রেনীয় শিশুদের ফিরিয়ে আনতে উভয় দেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাশিয়া ও ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনায় হামলা নিষিদ্ধের ব্যবস্থা গ্রহণে সম্মত হয়েছে ওয়াশিংটন ও কিয়েভ।

এ ছাড়া আমেরিকা ও ইউক্রেন টেকসই ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ চালিয়ে যাবে এবং সামুদ্রিক ও জ্বালানি চুক্তি বাস্তবায়নে তৃতীয় পক্ষকে সমর্থন দেবে।
এদিকে ক্রেমলিন বলেছে, রাশিয়ার শস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরই কেবল কৃষ্ণ সাগরে যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর হতে পারে।

যুদ্ধবিরতিকে সঠিক পদক্ষেপ আখ্যা দিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, চুক্তি কাজ করবে কি না, তা এখনই বলা তাড়াহুড়ো হবে। এরপর কেউ ইউক্রেনকে শান্তির দিকে অগ্রসর না হওয়ার দায় দিতে পারবে না।

ভবিষ্যতে যুদ্ধবিরতি তদারকির জন্য তৃতীয় পক্ষ আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে জেলেনস্কি বলেন, উভয় পক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা তুরস্ক কৃষ্ণ সাগরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারে এবং মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ জ্বালানি চুক্তিটি তদারকি করতে পারে।

আলোচনায় অংশ নেওয়া ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ বলেন, কৃষ্ণ সাগর চুক্তি নিয়ে এখনো কাজ চলছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, রুশ যুদ্ধজাহাজ যদি কৃষ্ণ সাগরের পূর্ব অংশ থেকে সরে যায়, তাহলে ইউক্রেনের আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগের পূর্ণ সুযোগ থাকবে।

ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে বলেছে, খাদ্য ও সারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সম্পৃক্ত রুশ ব্যাংক থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরই চুক্তিটি কার্যকর হবে।

এদিকে ইউক্রেনের বিমান হামলায় রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের সামরিক অবকাঠামোয় ৩০ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে কিয়েভ। এ ছাড়া রাশিয়া গত সোমবার রাতে ইউক্রেনে ১৩৯টি ড্রোন এবং একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। এর মধ্যে ৭৮টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি করেছে কিয়েভ। ৩৪টি ড্রোন লক্ষ্যবস্তু পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। বাকি ২৭টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের কী হয়েছে তা জানায়নি ইউক্রেন।