২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩.৯ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বুধবার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এডিবির ঢাকা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এডিবি এশিয়ান দেশগুলোর প্রবৃদ্ধির ২০২৫ এবং ২০২৬ সালের পূর্বাভাস দিয়েছে। বাংলাদেশ আগামী অর্থবছরে (২০২৫-২৬) জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ১ শতাংশ হবে বলে অনুমান করেছে এডিবি।
এডিবি এর আগে চলতি অর্থবছরের জন্য চার দশমিক তিন শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল। বাংলাদেশের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) জিডিপি প্রাক্কলনের কথা উল্লেখ করে এডিবির পূবাভাসের এপ্রিল সংস্করণে বলা হয়েছে, এ সময়ে অর্থনীতি ধীর গতিতে প্রসারিত হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, শ্রমিক বিক্ষোভ, উচ্চ মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের অর্থনীতির সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলেছে। তবে উৎপাদন খাত স্থিতিশীল হওয়ায় পরবর্তী প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিওং মনে করেন, জরুরি কাঠামোগত সংস্কার করা গেলে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হতে পারে।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে, যা গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে শক্তিশালী করা যেতে পারে। বেসরকারি খাতের উন্নয়নকে উৎসাহিত করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের বাইরেও তার অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করা দরকার। স্থিতিশীল অবকাঠামো বৃদ্ধি, জ্বালানি নিরাপত্তা উন্নত করা, আর্থিক খাতের সুশাসন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।