শনিবার

,

১২ই এপ্রিল, ২০২৫

জাতীয়ভাবে বাংলাসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উদযাপনের উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জাতীয়ভাবে বাংলাসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ একসঙ্গে উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বছর জাতীয়ভাবে চৈত্রসংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ এবং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উদযাপন করা হবে। নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এক তথ্য বিবরণীতে এই কথা জানিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

নববর্ষের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের পহেলা বৈশাখ শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পার্বত্য কমপ্লেক্স থেকে তিন পার্বত্য জেলার শোভাযাত্রা।

এ বছর বাঙালি জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো, মনিপুরী ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী এবং নারী ফুটবলারদের অংশগ্রহণে সর্বজনীন শোভাযাত্রা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পহেলা বৈশাখ সকালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের এবং ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চে সুরের ধারার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া বুলবুল ললিতকলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ, গারো সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। বাংলা একাডেমি ও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের আয়োজনে একাডেমি প্রাঙ্গণে সাত দিনব্যাপী নববর্ষের মেলা, আলোচনা সভাসহ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হবে। নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ক্রোড়পত্রের পরিবর্তে পত্রিকাসমূহে বিশেষ ফিচার প্রকাশ করা হবে।

পহেলা বৈশাখে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় একটি বর্ণাঢ্য ড্রোন শো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত দপ্তরসমূহ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আলোচনা সভা, কুইজ প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে।

চৈত্র সংক্রান্তিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চৈত্র সংক্রান্তি কনসার্ট আয়োজন করবে। এছাড়া পহেলা বৈশাখে ভ্রাম্যমাণ সংগীত, চিত্র প্রদর্শনী ও লাঠিখেলার আয়োজন করা হবে।

প্রতিটি জেলা, উপজেলায় পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সাড়ম্বরে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে। সকল কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) ঐতিহ্যবাহী বাংলা খাবার সরবরাহ করা হবে। সকল জাদুঘর ও প্রত্নস্থান সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। এছাড়া বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।