মঙ্গলবার

,

১৫ই এপ্রিল, ২০২৫

আইএমএফের শর্ত থেকে ১ বিলিয়ন ডলার কম রিজার্ভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

আইএমএফের রিজার্ভ পূরণের শর্ত থেকে এক বিলিয়ন ডলার কম আছে বাংলাদেশের। শর্ত অনুযায়ী, আগামী জুনে নিট রিজার্ভ (এনআর) থাকতে হবে ১৭ বিলিয়নের কিছুটা বেশি। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন। তবে আগামী জুনের মধ্যে আইএমএফের শর্ত পূরণ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রভাবে বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ২৬.৩৮ বিলিয়ন ডলার। রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণপ্রাপ্তির অন্যতম শর্ত ছিল, নিট রিজার্ভ জুনের মধ্যে থাকতে হবে ১৭ বিলিয়নের কিছুটা বেশি। আশা করছি, আইএমএফের শর্ত জুনের মধ্যে পূরণ করতে সক্ষম হব।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ক্রমেই বাড়ছে বাংলাদেশের রিজার্ভ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২১.১১ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, আইএমএফের এসডিআর হিসাবে থাকা ডলারসহ সব ধরনের দায়-দেনা শোধের জন্য জমা রাখা অর্থ বাদ দিয়ে রিজার্ভের যে হিসাব তৈরি করা হয়, সে অনুযায়ী এখনই ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ১৬ বিলিয়ন ডলার, যাকে গণমাধ্যমে নিট রিজার্ভ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ২০২৪ সালের ১৫ মে তা ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছিল। সরকার পরিবর্তনের পর আবারও সেটা বাড়তে শুরু করেছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে চলমান ৪৭০ কোটি আমেরিকান ডলারের ঋণচুক্তির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে বাংলাদেশ কতটা শর্ত পূরণ করেছে, তা পর্যালোচনার জন্য সংস্থাটির একটি বিশেষ দল গত ৫ এপ্রিল ঢাকায় এসেছে। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করছে প্রতিনিধিদলটি।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে টাকা-ডলার বিনিময়হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে গভর্নর জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন দুই অঙ্কের ঘরে থাকা মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে। গত মার্চে মূল্যস্ফীতি নেমেছে ৯.৩৫ শতাংশে। আগামী জুনের মধ্যে ৮ শতাংশে নামার আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সময়ে রিজার্ভ পরিস্থিতির আরো উন্নতির আশা করা হচ্ছে। ফলে আগামী জুনের মধ্যে ডলারের দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তদারকি অব্যাহত রাখবে।