মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অভিবাসন বিভাগের (জেআইএম) অভিযানে অবৈধ ১৬৫ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরের মেদান ইম্বির একটি ব্যাবসায়িক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
এ সময় আরো ৩৪১ জন বিদেশি অবৈধ নাগরিককে আটক করা হয়। শুক্রবার মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম নিউ স্ট্রেট টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক জাকারিয়া শাবান জানান, মেদান ইম্বি অনেকদিন ধরে অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে চিহ্নিত ছিল। এখানকার অনেক দোকানঘরের উপরের তলা ভাড়া নিয়ে অবৈধ অভিবাসীরা বসবাস করত।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের সদর দপ্তর, নেগেরি সেম্বিলান ইমিগ্রেশন বিভাগের বিভিন্ন পদের ১৮৫ জন ইমিগ্রেশন অফিসারের একটি বাহিনী ও জাতীয় নিবন্ধন বিভাগের মতো অন্যান্য সংস্থার সহায়তায় অভিযানটি পরিচালিত হয়। এই অভিযানে আটক করা ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬৫ জন বাংলাদেশি, ১৪২ জন নেপালি ও ১০৯ জন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। এ ছাড়া বাকি ৯০ জন ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কান। অভিযান থেকে ৫৮ জন নারীকেও আটক করা হয়। তবে আটক নারীদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি ছিলেন না।
আটকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বৈধ কাগজপত্র না থাকা, ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া এবং ওয়ার্কিং ভিজিট পাসের অপব্যবহার। অনেক কর্মীকে দেখা গেছে যাদের জোহরের ওয়ার্কিং ভিসা থাকলেও তারা কুয়ালালামপুরে অবস্থান করছিলেন।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক ওয়াইবিএইচজে দাতো জাকারিয়া বিন শাবান গত বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই অভিযানে মোট ৮৯৫ জন ব্যক্তির ডকুমেন্টস পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে ৭৪৯ জন অভিবাসী নাগরিক ও ১৪৬ জন স্থানীয় নাগরিক ছিলেন।
যাচাই-বাছাই শেষে ৫০৬ জন অভিবাসী নাগরিককে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের সন্দেহে আটক করা হয়েছে। তাঁদের সবার বয়স ২৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে।