বিপিএলে বৃহস্পতিবারের প্রথম খেলায় ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩৯ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। জবাবে চার ওভার হাতে রেখেই দুই উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বরিশাল। দিনের দ্বিতীয় খেলায় খুলনা টাইগার্সের বিরুদ্ধে ৪৫ রানে জয়ী হয়েছে চিটাগং কিংস। চিটাগং এর সাত উইকেটে ২০০ রানের জবাবে নয় উইকেটে ১৫৫ রানেই থেমে যায় খুলনার ইনিংস।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকা ক্যাপিটালস সতর্কতার সাথে খেলছিল। আগের ম্যাচে ভালো খেললেও লিটন দাসের ব্যাটে এদিন ছিল উল্টো চিত্র। ১৭ বলে ১৩ রান করে আউট হন লিটন।
মুনিম শাহরিয়ার ও অধিনায়ক থিসারা পেরেরা কোনো রান করেনি । বড় সংগ্রহ পাননি কোতজে, সাব্বির রহমানরা। তানজিদ তামিম একা লড়াই করে ৪৪ বলে ৬২ রান করে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। তবে অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দলের রান বেশি হয়নি। ১৩৯ রানেই থামে ক্যাপিটালস।
ছোট টার্গেট সামনে রেখে শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্তকে হারালেও তামিম ও মালানের ব্যাটিংয়ে কোনো চাপ পড়েনি বরিশালের। দ্বিতীয় উইকেটে ১১৮ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান তারা। ঘরের মাঠে তামিম ৪৮ বলে ৬১ রানের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান। অপরদিকে, মালান ৪৯ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেন।
এদিকে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নামে চিটাগং। উসমান খান শুরুতে ফিরলেও কিংসকে পথ হারাতে দেননি পারভেজ হোসেন ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ক। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ১২৮ রান। ইমন হাফ সেঞ্চুরি মিস করলেও দারুণ ব্যাটিংয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেছেন ক্লার্ক। চলতি বিপিএলে এটি ষষ্ঠ সেঞ্চুরি, যদিও এর পরপরই ইংলিশ সাজঘরে ফিরেছেন ১০১ রান করে।
ক্লার্কের বিদায়ের পর শেষ চার ওভারে প্রত্যাশিত রান তুলতে পারেনি স্বাগতিকরা। শামীম হোসেন, হায়দার আলী ফিরেছেন দ্রুতই। শেষ পর্যন্ত ২০০ রানের পুঁজি পেয়েছে কিংসরা। চলমান মৌসুমে এটি তাদের তৃতীয় দুইশ রানের পুঁজি।
বড় সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে শুরুতেই প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা ওপেনার শিবলিকে হারায় টাইগার্স। দলীয় ৪ রানে খালেদ আহমেদের বলে ওয়াসিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। মোহাম্মদ নাঈমও পারেননি ইনিংস বড় করতে। অধিনায়ক মিরাজ ও আফিফ ঝড়ো শুরুর আভাস দিলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি।
দারউইশ রাসুল, মোহাম্মদ নাওয়াজ, মাহিদুল অঙ্কনদের ছোট ছোট ইনিংস গুলো শুরু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত টাইগাররা থামে ৯ উইকেটে ১৫৫ রানে।