বুধবার

,

৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

চীনা ও রুশ প্রেসিডেন্টের ভিডিও বৈঠক : সম্পর্ক আরও জোরদার করার অঙ্গীকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে ভিডিও কল করেন। উভয় দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও জোরদার করতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন দুই প্রেসিডেন্ট।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভিডিও বৈঠকে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কটিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার বেইজিংয়ের গ্রেইট হল অভ দ্যা পিপল মিলনায়তনে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সিকে প্রিয় বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে পুতিন বলেন, রাশিয়া-চীন ব্যাপক অংশীদারত্ব এবং কৌশলগত সহযোগিতার উন্নয়নের জন্য নতুন পরিকল্পনা প্রস্তাব দিতে চান তিনি। পরে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত ভিডিও উন্মুক্ত করা হয়েছে।

পুতিন বলেন, ‘মস্কো ও বেইজিংয়ের মধ্যে সহযোগিতা জাতীয় স্বার্থের ওপর ভিত্তিতে গঠিত, এর সঙ্গে আমি একমত। বৃহৎ শক্তির মধ্যে সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত, সে সম্পর্কেও মতের মিল রয়েছে।’

পুতিন আরও বলেন, ‘আমরা বন্ধুত্ব, পারস্পরিক বিশ্বাস, সমর্থন, সমতা এবং পারস্পরিক সুবিধার ভিত্তিতে আমাদের সম্পর্ক গড়ে তুলি। এ সম্পর্ক স্বয়ংসম্পূর্ণ, দেশীয় রাজনৈতিক কারণ এবং বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল নয়।’

এদিকে সি চিন পিং বলেন, নতুন বছরে চীন-রাশিয়া সম্পর্ককে আরও উচ্চ স্তরে নিয়ে যেতে, চীন-রাশিয়া সম্পর্কের স্থিতিশীলতা ও স্থিতিস্থাপকতার মাধ্যমে বহিরাগত পরিবেশের অনিশ্চয়তা মোকাবেলা করতে, যৌথভাবে দু’দেশের উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনকে উত্সাহিত করতে এবং আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার বজায় রাখতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।

সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, উভয় পক্ষের উচিত কৌশলগত সহযোগিতা আরও গভীর করা, একে অপরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করা এবং দুই দেশের বৈধ স্বার্থ রক্ষা করা। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুসংহত ও সম্প্রসারিত করা এবং ব্যবহারিক সহযোগিতার গভীর উন্নয়নকে উৎসাহিত করা।

উল্লেখ্য, আমেরিকা চীনকে তার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এবং রাশিয়াকে তার সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনের সঙ্গে চুক্তি না করায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচনা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, তাঁর চুক্তি করা উচিত। চুক্তি না করে তিনি রাশিয়াকে ধ্বংস করছেন। এছাড়া মেক্সিকো ও কানাডায় ফেন্টানিল পাঠানোর সমালোচনা করেন ট্রাম্প। এজন্য ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে চীনা পণ্যের ওপর ১০% শুল্ক বসাবে ট্রাম্প প্রশাসন।