রবিবার

,

২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

নাটকীয়তার পর ১১০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি

এটিভি ইউএসএ নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে আট জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এদের মধ্যে তিনজন ইসরায়েলি ও পাঁচজন থাই নাগরিক। তবে অনেক নাটকীয়তার পর বেশ দেরিতে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার তৃতীয় ধাপে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।

জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৩০ শিশুসহ ১১০ ফিলিস্তিনি বন্দির ছাড়া পাওয়ার কথা। তবে জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়ার পর কারাবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও প্রথমদিকে তা স্থগিত করেছিল ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাত্জ ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি বিলম্বিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

গাজার খান ইউনিসে সাত জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার সময় হট্টগোল পরিস্থিতির পর ইসরায়েল থেকে কারাবন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি বিলম্বিত করার নির্দেশের খবর মেলে। নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, ‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আমাদের জিম্মিদের নিরাপদে বের করে দেওয়ার নিশ্চয়তা না দেওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের মুক্তি দিতে বিলম্ব করার সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

’ এ ব্যাপারে মধ্যস্থতাকারীদের এগিয়ে আসতে বলেছেন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলি কারাগার থেকে ১১০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা। এদিকে পশ্চিম তীরের রামাল্লায় কারাবন্দিদের জন্য অপেক্ষায় থাকে তাদের স্বজন, বন্ধু ও সমর্থকরা।
কারাবন্দিবিষয়ক সংগঠন ফিলিস্তিনি প্রিজনার সোসাইটি জানায়, মুক্তি পেতে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে রামাল্লা এলাকার মোহাম্মেদ ফালনা (৬০) থাকতে পারেন।

ইসরায়েলি বাহিনী গতকাল জানায়, হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া আট জিম্মি ইসরায়েলে ফেরত গেছেন। তাদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ ইসরায়েলি এবং পাঁচজন থাই নাগরিক রয়েছেন। হামাস রেড ক্রসের হাতে তাদের হস্তান্তর করেছে। উত্তর গাজার জাবালিয়া থেকে প্রথম আগাম বারগারকে (২০) রেড ক্রসের হাতে তুলে দেয় হামাস। ৪৮২ দিন তিনি জিম্মি ছিলেন।

১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর দুই ধাপে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২৯০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তির বিনিময়ে সাতজন ইসরায়েলি নারী সেনাকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।