দেশটির জন্য বিপজ্জনক ৩০ হাজার অভিবাসীকে বন্দীদের নিপীড়নের জন্য কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে কারাগারে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারাগারটিকে প্রস্তুত করতে এরই মধ্যে তিনি পেন্টাগন ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টকে নির্দেশ দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এতথ্য জানা গেছে।
তিনি বলেছেন, কিউবায় আমেরিকার নৌঘাঁটিতে যে হাই-সিকিউরিটি সামরিক কারাগার রয়েছে, নতুন বন্দিশালাটি সেটি থেকে পৃথক হবে। এই বন্দিশালায় স্থান হবে সেসব ‘জঘন্যতম’ অবৈধ অভিবাসীদের, যারা আমেরিকার জনগণের জন্য হুমকির কারণ।
৯/১১ হামলার পর থেকে সন্দেহভাজন ‘সন্ত্রাসীদের’ গুয়ানতানামো বে কারাগারে বন্দি করে রাখছে আমেরিকা। অভিবাসীদের সেখানে রাখা নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সমালোচনা করে আসছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদের শেষ সময়ে এসে গুটিকয়েক বন্দিকে সেখান থেকে মুক্ত করা হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘বর্ডার সিজার’ টম হোম্যান বুধবার বলেছেন, সেখানে বর্তমানে যে স্থাপনা সুবিধা রয়েছে তা বর্ধিত করা হবে।
আর তা পরিচালনা করবে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। সাগরে আমেরিকার কোস্ট গার্ডের হাতে অভিবাসী ধরা পড়ার পর তাদের সরাসরি সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে।
কিউবা সরকার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে ‘দখল করা’ ভূমিতে অবৈধভাবে আটক রাখা ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে।
কথিত লেকেন রাইলি অ্যাক্টকে আইনে রূপান্তরের জন্য স্বাক্ষর করার সময়ও ট্রাম্প একই কথা বলেছেন। হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, গুয়ানতানামোর নতুন নির্বাহী আদেশে প্রতিরক্ষা ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে ৩০ হাজার শয্যার এই স্থাপনার ‘প্রস্তুতি শুরু করতে’ নির্দেশ দেওয়া হবে।
লেকেন রাইলি অ্যাক্ট-এ চুরি বা সহিংস অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার অবৈধ অভিবাসীদের বিচারের জন্য কারাগারে রাখার বিধান হয়েছে। ২০২৪ সালে ভেনিজুয়েলার এক অভিবাসীর হাতে প্রাণ হারানো জর্জিয়ার এক নার্সের নামে ওই বিলটি করা হয়। গত সপ্তাহে বিলটি কংগ্রেসে পাস হয়, যেটিকে প্রশাসনের ‘প্রাথমিক আইনি বিজয়’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।