সোমবার

,

১০ই মার্চ, ২০২৫

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকে পুনর্বাসন করছে নাগরিক পার্টি : ছাত্রদল

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টি বিভিন্নভাবে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসিত করছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদল।

শুক্রবার নয়াপল্টনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।

রাকিব বলেন, ‘সারজিস আলমের শোডাউনে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং জুলাই আগস্টের গণহত্যার আসামিদেরকে দেখা গেছে। এভাবেই জাতীয় নাগরিক পার্টি ও তাদের ছাত্রসংগঠনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পুনর্বাসন হচ্ছে।’

বসুন্ধরায় জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা ও চড়াও হওয়ার ঘটনায় ছাত্রদলকে দায়ী করায় প্রতিবাদ জানিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করা হয়।

ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ‘গত ৫ মার্চ জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা সারজিস আলমের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সারজিস আলম এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দেন। এছাড়া দেশের যেকোনও জায়গায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাত্রদলের নাম জড়ানোর একটি দুরভিসন্ধিমূলক প্রবণতা লক্ষ্য করছি। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের কথা দেশের সব রাজনীতি সচেতন মানুষ অবগত। পূর্বের রেষারেষির জের ধরেই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সারজিস আলম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন।

রাকিব বলেন, ‘নবগঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন না করা এবং মধুর ক্যান্টিনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন সারজিস আলম।

তিনি আরও বলেন, ‘তাকে গেটের সামনে দেখে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ‘ঢাবির সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ স্লোগান দেয়। এরপর সারজিস আলম সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।’

সারজিস আলম তার পোস্টে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতকারী এবং টোকাই’ উল্লেখ করে এ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অপমান করেছেন। আমরা তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই।

ছাত্রদল মনে করে, সারজিস আলমের বক্তব্যে জুলাই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন ত্যাগকে মর্যাদাহানি করা হয়েছে। আমরা তার এই বক্তব্য প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কোনও সাংগঠনিক কার্যক্রম ছিল না উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটনাস্থলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও ছিল না। সারজিস আলমের সঙ্গে ছাত্রদলের কোনও বিরোধ হয়নি। তবে এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দলের কেউ দোষী প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।