বুধবার

,

১২ই মার্চ, ২০২৫

জার্মান বিমানবন্দরে আকস্মিক ধর্মঘটে শত শত ফ্লাইট বাতিল

এটিভি ইউএসএ নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

বেতনের দাবিতে দেশব্যাপী বিমানবন্দর শ্রমিকদের আকস্মিক ধর্মঘটে শত শত ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে বিমানের যাত্রীরা।

রবিবার ট্রেড ইউনিয়ন ভার্দির নেতৃত্বে শিল্প কর্মসূচি হামবুর্গ বিমানবন্দরে অপ্রত্যাশিতভাবে শুরুর পর দেশব্যাপী ধর্মঘট ছড়িয়ে পড়ে। ফ্রাঙ্কফুর্ট, মিউনিখ, বার্লিন এবং অন্যান্য বড় বড় বিমানবন্দরে যাত্রীদের পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। কারণ যাত্রীদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে পড়ছে।

জার্মানির গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, সোমবার এক দিনে কয়েক হাজার ফ্লাইট বাতিলের শঙ্কা রয়েছে। এতে অন্তত পাঁচ লাখ যাত্রী ভোগান্তিতে পড়তে পারে।

জার্মান বিমানবন্দর সংস্থা এডিভি জানিয়েছে, শিল্পক্ষেত্রের এই ধর্মঘটে প্রায় তিন হাজার ৪০০ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।

হামবুর্গ বিমানবন্দরের মুখপাত্র কাতজা ব্রম জানান, সোমবার ১৪৩টি ফ্লাইট ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। ছুটির মৌসুমের শুরুতে এভাবে বিনা নোটিশে ভার্দির ধর্মঘট আহ্বান করা উচিত হয়নি।

কাতজা ব্রম বলেন, রোববার শুরু হওয়া ধর্মঘট অতিরঞ্জিত ও অন্যায্য। এতে হাজারও যাত্রী সমস্যায় পড়েছেন। অথচ এ সমস্যায় তারা কোনোভাবে দায়ী নয়।

যাত্রীদের সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করে শ্রমিক সংগঠন ভার্দির মুখপাত্র জার্মান মিডিয়াকে বলেন, নিয়োগকর্তাদের থেকে উপযুক্ত কাজের পরিবেশ ও বেতন আদায়ে এ ধর্মঘট ডাকা প্রয়োজন ছিল।

এ অবস্থায় ফ্রাঙ্কফুটের ১৭৭০ ফ্লাইটের অনেকগুলো ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি মিউনিখের বেশিরভাগ ফ্লাইট বাতিল হতে পারে, এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেক যাত্রী বিমানবন্দরে তাদের লাগেজ চেক ইন করে ফেলেছে। ফলে এসব ফেরত পেতে সমস্যায় পড়ছে বলে জানায় পাবলিক ব্রডকাস্টার এনডিআর। মাধ্যমটি আরও বলছে, চলমান ধর্মঘটে হ্যানোভার বিমানবন্দরে বিমান ট্রাফিক সিস্টেমে অচলাবস্থা দেখা দেয়।

বিমানবন্দরে ধর্মঘটের পাশাপাশি শ্রমিক সংগঠন ভার্দির ডাকে রাজধানী বার্লিনসহ কয়েকটি শহরে ময়লা সংগ্রহের কাজও বন্ধ রয়েছে। ইউনিয়নটি দাবি করছে, বিমানবন্দর শ্রমিকদের ৮ শতাংশ মজুরি বাড়াতে হবে অথবা মাসে ৩৫০ ইউরো বেশি দিতে হবে। এর সাথে অতিরিক্ত বোনাস দিতে হবে এবং অতিরিক্ত সময়েও কাজের নিয়ম বাতিল করতে হবে।

শ্রমিকদের এ দাবির প্রেক্ষিতে মালিকপক্ষ জানায়, তাদের পক্ষে এগুলো মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

এ অবস্থায় উভয়পক্ষকে নিয়ে চলমান সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকার ও স্থানীয় কর্তপক্ষের উদ্যোগে আলোচনা চলছে।